বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০১০

****

*
ছন্দবদ্ধ কার্ণিশ বেয়ে নেমে আসে হলদে রোদ। ঘাম জমে ওঠে শরীর সমতল জুড়ে। ঘোলাটে মনের আনাচ কানাচে যেসব ঘাসের বসবাস, তারা আলোড়িত হয় বাতাসের প্রতীক্ষায়। বাতাসের সাথে ডুমুর ফুলের বন্ধুতা বাড়ে। মুখে হাসি, চোখে জল নিয়ে এলোমেলো উড়ে যায় নাগরিক কাকের দল।

**
ছন্নছাড়া। ছন্নছাড়া।
জীবন নিয়ে হেঁকে চলে ফেরিওয়ালা। কিনবার মত লোক খুঁজে ফেরে এখানে ওখানে। মেলেনা। চাহিদা নেই তাই ছন্নছাড়া জীবন পড়ে থাকে টিনের কৌটোতে কিংবা বাঁশের ঝাঁকায়। শোঁ শোঁ করে গাড়ি হাঁকায় গোছানো জীবনের বিক্রেতারা। তাদের কাঁচের শো-কেসে রাখা প্রোডাক্টের চাহিদা প্রচুর। সারাক্ষণ সারিসারি ক্রেতাদের আসা-যাওয়ায় মসৃণ হতে থাকে কংক্রীটের আবরণ।

***
আয়নায় তাকিয়ে চোখ রাঙানী দেখি নিজের। নাঃ। রাতজাগা ক্লান্তি ভর করা নেই চোখে, নেই ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। খুব সাধারণ একটা অসুখ ভর করেছে চোখে। সময়টাই এরকম। চোখের অসুখ, মনের অসুখ খুব সহজেই সংক্রমিত হয়ে পড়ে। চোখ থেকে চোখে। মন থেকে মনে।

****
একটা সময়ের পরে বিবাহিতদের ভিতরে আর আবেগ টিকে থাকে না। দু'জন দু'জনকে মানসিক ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টায় মেতে থাকে সারাক্ষণ। এই আমি ছুঁড়ে দিচ্ছি কথা, দেখি কেমন তোমার এড়িয়ে যাবার ক্ষমতা? সময় পার হয়। স্বর পাহাড় বেয়ে উঠতে থাকে। একপর্যায়ে অত্যাধিক উচ্চতায় অক্সিজেন স্বল্পতা জনিত কারণে থেমে যায় দু'টো স্বর ই। জমে ওঠে নীরবতার বরফ।