শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

গ্রাফিতি কিংবা জীবন...

হলদে পেঁচার কথাঃ-
শুটকো পটকা হলদে পেঁচাটা কিভাবে এখানে চলে এলো তা অন্য কেউ কেনো, পেঁচাটা নিজেই জানেনা। তারপরেও, এসেই যখন পড়েছে, চোখ বড় গোল বড় গোল করে তাকিয়ে থাকতেতো অসুবিধা নেই। অবশ্য চোখ চারকোনা করে তাকাবার উপায়ও নেই। যাক, পেঁচাটা চোখ গোল করেই তাকিয়ে থাকুক আর ভাবতে থাকুক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে...

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া দু'জন মানুষের কথাঃ-
ফিলসফি, জীবন, ক্রাইসিস। কথা বলার বিষয়গুলো ছিলো এরকমই। তবে সবচে মজার ব্যাপার হলো দু'জনের মাথার ভেতরে বসে ছিলো আরো দু'জন এবং সেই মাথার ভেতর বসে থাকা দু'জনের অন্তত একজনের মাথার ভিতর বসে ছিলো অন্য আরেকজন আর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকা একজন..

পার্পল পেঁচার কথাঃ-. 
পার্পল পেঁচাটার স্বাস্থ্য একটু ভালো, তবে সেটা নিয়ে পেঁচাটার কোন মাথা ব্যথা নেই। একটু দুঃখবোধ অবশ্য ছিলো তাদের নীল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে। যদিও সেটা আপাতত তার খেয়ালে নেই, সে তার চোখগুলো ছোট গোল ছোট গোল করে মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোর কথা... 

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া দু'জন মানুষের কাছে থাকা জিনিসপত্রের কথাঃ-
ওইযে একটু আগে যেই বিষয়গুলো নিয়ে দু'জন মানুষ কথা বলছিলো, তার সাথে সাথে কিছু সাহিত্য বিষয়ক কথা বার্তাও যোগ হয়েছিলো ততক্ষণে। যদিও চেক শার্ট গায়ে মানুষটার ব্যাগের ভিতরে যেই ওরিগ্যামি স্টার আর লিলিটা ছিলো তারা মানুষগুলোর এত আলোচনায় মন না দিয়ে ফ্রয়েডের বইয়ে লেখা বিষয়গুলোর সাথে নিজেদের ভাঁজের রসায়ন খোঁজায় ব্যাস্ত ছিলো। ওদিকে জিনসের জ্যাকেট গায়ে মানুষটার পকেটে থাকা মুঠোফোনটা ভাবছিলো এই মুহুর্তে দুইটা এপ এর ইন্টার‍্যাকশন কিভাবে করা যায় আর নিজের সফটওয়্যারটার একটা গতি করার ব্যাপারে...