সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০১০

হাতুড়ে গদ্য (অন্য চেতনা)

হঠাৎ ঘরের দরজাটা খুলে গেলো। একরাশ আলো ঝাঁপিয়ে পড়লো অন্ধকারকে দুরে সরিয়ে দিয়ে। অবশ্য কিছুক্ষণ আগে থেকেই খচমচ শব্দ হচ্ছিলো, কিছু একটা ঘটার অপেক্ষায় কাঠ হয়ে ছিলো ঘরটার অধিবাসিরা।
তাকে দুজন মিলে ধরে বের করে নিয়ে আসলো গাদাগাদি করে থাকা ঘরের ভিতর থেকে। সেই কবে তাদের সবাইকে একসাথে এই ঘরের ভিতরে ঢুকানো হয়েছিলো ভুলেই গিয়েছিলো। সবকিছুই এখন নতুন নতুন লাগছে। আশে পাশে কতো নতুন নতুন জিনিস। বাতাসে নতুন গন্ধ। নতুন সব মানুষেরা।

যখন তার চেতনা জেগেছিলো সেখানকার পরিবেশের কথা মনে পড়ে গেলো। সাদা দেয়ালে ঘেরা একটা বিশাল ঘর ছিলো সেটা। আশে পাশে নানা রঙ এর কিছু যন্ত্রপাতি। সবাই সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে একেকটা ঘরে ঢুকে গিয়েছিলো। তারপর থেকে এই অন্ধকার ঘরেই তাদের জীবন। এত জন একসাথে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে বা শুয়ে থাকতে খুব একটা খারাপ লাগছিলো না।

ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অন্যরকম একটা আলোকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে চিন্তার সুতোটা খানিকটা ছিঁড়ে গেলো। আহ্... কি সুন্দর একটা উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেহজুড়ে।
তাহলে ঐ চেতনা ঘরে যা শুনেছিলো তাই সত্যি হতে যাচ্ছে? হয়তো।

মৃত্যুর আগেই যা যা দেখা সম্ভব দেখে নেওয়ার জন্য সে চারদিকে তাকিয়ে থাকলো। প্রাণভরে উপভোগ করতে থাকলো গাছের সবুজ, মেঘের নীল, রাস্তার ছাই রঙ। উত্তাপ এখন অসহনীয় হয়ে উঠছে। শরীরে জমে উঠছে ক্লেদ...



_____________________________________________

আঙ্গুলের টোকায় সিগারেটের ফিল্টারটা ঘাসফড়িংয়ের দ্রুততায় আলফেসানীর হাত থেকে চলে গেলো মেটে রঙ এর পানির আকর্ষণে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন