মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০

আত্মমগ্ন কথামালা

(অসতর্ক রক্তবীজ)


রৌদ্রের গান শুনে ঘুমিয়ে পড়ে বাসন্তী ফুলের সুঘ্রাণ..
ভেজা দুপুরের স্বপ্ন, ছায়াচিত্র আঁকে এলোমেলো সাপের কক্ষপথে...
গোপন জিহ্বার ঘাসদল, চেটে নেয় অসমকামী পশুদের নগ্ন বাহুমূল...
আর বিবর্ধিত জোছনারা জমা হতে থাকে ক্যামেরার শীতল ডিসপ্লে জুড়ে
ওদিকে
পদাতিক মেঘেদের মহড়ায় ঘরময় উড়তে থাকে মনখারাপের ছেঁড়া পাতা
এবং অসতর্ক সময়ের রক্তবীজ...

________________________________________________

(পথচলা, অন্ধকার স্বর্গের দিকে)

চোরাবালিতে ডুবে যেতে থাকে একরাশ রক্তাভ মেঘ
তাদের এলোমেলো কালো চুল, রাতজোছনার পাখি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে
বৃদ্ধ গাছেদের ভাঁজ আঁকা শরীরে।

জরতপ্ত চোখে জমে থাকা বিষাদের বরফ
পৌনপুনিক ঠোঁটবদল করে আশ্রয় খুঁজে নেয় মৃত নদীর কোটরে
যেখানে, জন্মান্ধ পপেরা হামগুড়ি থেকে উঠে দাঁড়ানো শেখে।

একে একে সুবিন্যস্ত করে রাখা হয় সময়ের ছেঁড়া ছবিগুলো
পর্যাপ্ত লোভে ভিজিয়ে নেয়া হবে অনুকুল রোদ হেসে উঠলেই।

তৃষিত স্ট্রিটলাইটের অশ্রুতে ঢাকা পড়ে সর্পিল রাজপথ
আর তারা, ক্লান্তি ভেঙ্গে হেঁটে চলে অন্ধকার স্বর্গাভিমুখে।

_______________________________________________

(একমুঠো শহুরে জোনাকের স্মৃতি)


ওরা হাঁটছে করিডোর ধরে... আর এক এক করে জোনাকের লাশ গুনে চলছি আমরা।

শহুরে মানুষগুলো কখনো জোনাক দেখেনি
তাই তারা জানে না জোনাক হতে গেলে কাঁধে পাখা থাকতে হয়
নয়তো নিজের আগুনেই নিজের পুড়ে যাওয়ার নিয়ম লেখা গ্রন্থিত ইতিহাসে।



সেদ্ধ অর্ধসেদ্ধ জোনাকের দেহ জমে উঠছিল করিডোর জুড়ে।



ওরা হেঁটে আসছে করিডোর ধরে

ওদের হাতের মহামূল্যবান আংটি থেকে ঠিকরে পড়ছে মৃত্যুর রং

ওদের আগমনে কুয়াশা জমছে করিডরে


আমরা আর জোনাকদের লাশ গুনতে পারছি না
আমাদের দু'চোখ ভেঙ্গে নামছে অস্থির ঘুম।


একমুঠো জোনাকের মৃত্যু এখন দুঃস্বপ্নের অংশ হয়ে মিলিয়ে গিয়েছে বিকেলের আকাশে।

_______________________________________________________

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন