সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০১০

হাতুড়ে গদ্য (অসংলগ্ন-৪)

আলফেসানীর উদ্দেশ্যহীন তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছিলো। তাই তার চোখ দুটো বাবলু এন্টারপ্রাইজ লেখা বাসের গায়ে সেটেছিলো। কান দিয়ে ঢুকছিলো ছড়ানো ছিটানো ছন্দময় শব্দ বা শব্দময় ছন্দ। তাবরেজী যখন বলে উঠলো "অন্ধকার আসলে ঢাকা থাকে অন্ধকার দিয়েই"। আলফেসানীর আঠালো চোখ দু'টো ফিরে আসলো তাবরেজীর জামায় বড় করে আঁকা সংখ্যাটার দিকে।

মাঠের ভিতর একেবারে মাঝখানে বাঁশের একটা উঁচু কাঠামো দাঁড়িয়েছে কয়দিন ধরে। তাবরেজীর তর্কের বিষয় ছিলো কেন এটা বাঁশেরই তৈরী? কেনো স্টিল কিংবা প্লাস্টিকের তৈরী না। আরো অনেকগুলো বিষয় নিয়েই তার ভিতর অভিযোগ তৈরী হয়েছিলো। ম্যাচের বাক্সের গায়ে কাঠি ঠুকলে সেটার আগুন কেনো এত অল্প সময় স্থায়ী হয়? বারুদেই কেনো আগুন সীমাব্দ্ধ থাকবে? সিগারেটটা ঠিকমতো না জ্বলে উঠলে কি ম্যাচের কাঠির নিভে যাওয়া উচিত? এরকম আরো অনেক কিছুই ছিলো অভিযোগের লিস্টিতে।

তাবরেজীর ভাবনাগুলো কেমন যেনো সবদিকে ছড়িয়ে যায় আবার কেমন একটা কেন্দ্রীয় আবহ ধারণ করে চলে। সে পড়তে ভালোবাসে। পঠিত বস্তু গুলোর কন্টেন্টের সুক্ষ্ম সুতোয় বুনে চলে নতুন চেতনার ভিত। প্রচলিত অর্থে তাকে দার্শনিক বলা চলে না আবার চিন্তশীল্পী না বললেও তাকে অপমান করা হয়। আলফেসানী কোনদিকে যাবে ভেবে উঠতে পারে না।

দু'জন মিলে মাঠের ভিতর চিত হয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন চিন্তা করছিলো। মাঝে একটা ঘাস আলফেসানীর কানে কানে বললো তারা শুকিয়ে আসছে। সিগারেটগুলো দুর দুরে প্রক্ষেপনের সুত্রে পড়তে লাগলো। রাতের অন্ধকারও একে একে ঢাকা পড়ে যেতে থাকে অন্ধকারের আড়ালে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন