মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০

(শরীরের গান)

*

আমি দুরে বসে সিগারেটের সাথে কুয়াশার মিল খুঁজে ফিরি| আর টুপটাপ করে ক্লান্ত শিশির ঝরতে থাকে রাতের মসৃন সমভূমি বেয়ে| গানওয়ালারা সকল সুর ভুলে হামাগুড়ি দিয়ে চলে গেছে বহুদূরের বিছানায়| লেপের ওম|
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা করে শরীরের কানাগলিতে| কাগজের নৌকায় ভেসে আসা শব্দগুলো... চিরে চিরে ফেলে নিস্তব্ধতার জমাট বরফ|

**

দুই শরীরজাত গান হয়তো দারুন শ্রুতিমধুর| তা নাহলে নারী ও পুরুষ কেন সারাক্ষণ এই গানে আরো বেশি পারফেকশন আনবার চেষ্টা চালিয়ে যায়?

***

ঠোঁটের আর্দ্রতায় ভিজে আসে ঠোঁট| প্রত্যেকেরই জোড় বাঁধবার প্রবণতা| সকালের রোদ যেমন তোমার আলতো গালে ছুঁয়ে যায়| অশ্রুরা উথলে ওঠে নেশাতুর দু'চোখের ভিতর| চেপে রাখার চেষ্টায় ফুলে ফুলে ওঠে এলোমেলো পিঠ| থরথর কাঁপতে থাকে পুষে রাখা পায়রা দু'টো| অদম্য ভালোলাগার তাল তাল রঙ ছড়িয়ে যায় মনের আনাচে কানাচে...

****

সর্ষে তেলের পিদিম জ্বলে ঘরের কোণে| কাজলদানীতে জমা হতে থাকে কালো রক্তের কাজল| ঘুম ঘুম দুপুর বেড়ালদের নিঃশব্দ পায়ের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে| আর কার্নিশ থেকে ডানা ঝাপটে উড়ে যায় নিঃসঙ্গ শালিক...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন