মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০

হাতুড়ে মুক্তগদ্য...

*
একদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাবো ছাদে। একরাশ রোদের গন্ধ হাতে নিয়ে। চোখে থাকবে বিলম্বিত লয়ের স্বপ্নরাগ। এলোমেলো জীবন পথের মোড়ে মিলে যাবে অনাঘ্রাত সময়। আর তুমি ফিরে যাবে আন্তঃনগর ট্রেনের আঁকাবাঁকা ট্র্যাকে।

**
ক্রিমাটোরিয়ামে লাশের ট্রে'তে ঘন হয়ে জমে থাকে অশউইৎজের শিশুরা। কালো মেঘের সন্ধ্যায় রোদফুলের নৈবেদ্য নিয়ে রাতের তারারা জড়ো হয় আঁধার পোশাকে। বিবস্ত্র চাঁদের রূপসুধায় মাতাল আমরা কিছু যুবক, হেঁটে চলি এ্যসফল্ট নদীর কোল ঘেঁষে।
গন্তব্য? অজানা।

***
বালুঘড়িতে সেকেন্ডের কাঁটা থাকেনা কেনো?
উত্তরটা জানা থাকা সত্ত্বেও বলা উচিত হবেনা, কারণ তাতে সাময়িক মানসিক বৈকল্যের প্রমাণ থাকতে পারে। বৃষ্টি জলের ফোঁটায় রক্তছাপ নিয়ে ছুটে চলা বুলেটগুলো আশ্রয় পায় অপরাধী নিরাপরাধ মানুষের পিঠে কিংবা মাথার পেছনে।

****
দু' টাকা পঞ্চাশ পয়সা না তিন টাকা না পাঁচ টাকা দিয়ে নিয়মিত মৃত্যু কেনার যৌক্তিকতা কতখানি, যেখানে জানা আছে সকল মূল্যমানের মৃত্যুই শেষ বেলায় একই ফল দেয় মানুষের চোখে নাহয় মনে।

*****
সবুজ আকাশ আর বেগুনী সাগরের সঙ্গমে যে শিশুটা জন্ম নেবে তার শরীর রক্তের মতো লাল হবারই কথা ছিলো। কিন্তু আকাশ আর সাগরের ভিতর প্রেম হয় নি। তাই বেদনায় আকাশ নীল, সাথে নীল সাগরও। নদী এদিক থেকে অনেক ভাগ্যবতী, সে তার প্রেমিক হিসেবে মাটিকেই চেয়েছিলো। আর তাদের শিশুরা বাদামী আর সবুজে সাজানো।

******
বিপ্রতীপ পুকুরে মীনচক্ষু ছেলের লাশ ভাসে। ঠোঁট ভরা হাসি নিয়ে দা হাতে ঘুরে বেড়ায় ব্রহ্মদত্যি। রোমশ বুকে ঘর তোলে সোনালী ধানের কৃষক। শেষে গোলাভরা ধান বিক্রি হয় শহরের ঝলমলে আলোজ্বলা দোকানে, আর মফস্বলে।

*******
তিনি বলছিলেন "The way you are looking into this matter, is not the right perspective"।
সে মনে মনে বলছিলো "ছড়ি যখন আপনার হাতে..."
নেট ফলাফলঃ- তিনি উঠে আসলেন রুম থেকে, আর সে কিছুটা বিষণ্ণ।

********
লাল রক্ত বয়ে চলেছে বুকে। তুমি ফিরে এসোনা। এখানে এখন আগুনের হাতছানি। একবার পুড়িয়েছি, আর চাইনা পুড়াতে কাদামাটিজল। সেখানে বেড়ে উঠবেনা কোনো বৃক্ষ, ঘর বাধবেনা কোনো কালো পাখি।

*********
নয় সংখ্যাটায় ছন্দের কারুকাজ অনেক। একঘেয়ে ছন্দ আমার ভালো লাগেনা। তবু ভালোবেসে যাই ছন্দগন্ধময় নয় সংখ্যাকে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন