মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

এলোমেলো মুক্তগদ্য

এপ্রিল ২৬, ২০১০ - ১২:০৪ অপরাহ্ন 

।।
*
গদ্য কেনো বন্দী হয়ে থাকবে? তার ডানাগুলো তো কেটে নেয়া হয়নি? তাকে তো কোনো খাঁচায় আটকে রাখা হয়নি? তাহলে কেনো থাকবে সে বন্দী হয়ে? স্বাধীন গদ্যরা ডানা মেলুক চাঁদের অপর পৃষ্ঠায়। হেঁটে বেড়াক বৃহঃস্পতির সবচে বড় উপগ্রহে, জমাট বরফের হ্রদে।
**
যত গাঢ় হ'তে থাকে অন্ধকার, ততই খুলে যেতে থাকে রাতের গভীরে ঢুকবার দরজাগুলো। একেকটা দরজা পার হ'লে দেখা যায় অন্ধকারের বহুবর্ণিল রূপ। চাঁদের রুক্ষ দৃষ্টিতেও নেমে আসতে থাকে কোমলতা। বৃষ্টি ঝরে, বৃষ্টি ঝরে। চাঁদ ও মানুষের যুগলবন্দী মনে।
***
সন্ধ্যা চুপিচুপি হেঁটেছিলো রাতের অভিসারে। আর তাই চাঁদগুলো লাল হয়েছিলো লজ্জায়। দুপেয়ে জীবেরা এমন দেখেই অভ্যস্ত, তাই তারা নিজেদের কাজেই ব্যাস্ত ছিলো। সেজন্য অনায়াস নির্লিপ্ততায় ঝরে গেলো একাধিক শিশুর কুমারীত্ব।
****
অর্জুণ ও কৃষ্ণরা শেষপর্যন্ত বিজয়ীর বেশে ফুলের মালা-টালা গলায় পড়ে ফিরে আসে। মৃত আত্মীয়দের শোক চেপে প্রজারাও তাদের নামে জয়ধ্বণি দিতে বাধ্য হয়। মুলতঃ শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজের সাথে স্বর্গের শ্রেষ্ঠ অধিবাসীরাও সদ্ভাব রাখতে আগ্রহী, তবেই না নশ্বর ধরায় তাদের সাম্রাজ্য চালানো কন্টক মুক্ত থাকবে।
*****
একটু বাতাস হলেই ধুলো ওড়ে। দৃষ্টি খানিকটা ঝাপসা হয়ে আসে। বাতাস কমলে ধুলোরা থিতিয়ে আসে বিভিন্ন টেবিল আর লেখার উপর। হাতে ময়লা লাগার ভয়ে ধুলোও মোছা হয়না, লেখার চরিত্ররাও আর জেগে ওঠেনা।
******
খানিকটা অহংকার কেনো জানি জমে আছে মনের পিরিচে। ফেলে দেই, দিচ্ছি করে ফেলে দেওয়াও হচ্ছে না। আবার ঠিক এড়িয়েও যাওয়া যাচ্ছে না। কিভাবে যে জমা হ'লো তার হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না। ধুর! নিজের উপরই বিরক্ত লাগছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন