সবার আগে বইলা রাখি, আমি আসলে ঐরকম কোনো পড়ুয়া না। আমার বইমেলায়
যাবার প্রধান কারণ হইতেসে মানুষজন দেখা। মানুষজনের আনন্দ, কষ্ট, বিষণ্ণতা,
উচ্ছাস এগুলা বুঝার চেষ্টা করা। আর কিছু লেখকের সান্নিধ্য পাওয়া। এইজন্যেই
আমার লেখায় বইপত্রে খোঁজ খবরের থিকা মানুষজনের কথা বেশী বেশী থাকবো...
সারাদিন ভাবসি যে আইজকাও বইমেলায় যামুনা, কিন্তু হঠাত ৪টার দিকে মনে হইলো- কি আছে জীবনে, যাইগা এইবারের বইমেলায় পয়লা চক্কর দিয়াই আসি। দিলাম দৌড়। গতবছরেও মেলার দ্বিতীয় দিন যেই লাইন আর ভীড় দেখসিলাম, সেইটা এইবার আর দেখলামনা। আর ফুটপাথের সাইডে যেই দোকান গুলা থাকে সেগুলাও পাইলাম না। কেরম জানি ন্যাড়া ন্যাড়া লাগতেছিলো। যাই হোক, ঢুইকা পড়লাম মেলার ভিতর। ঢুইকাই দৌড়, গত তিনবছর ধইরা বইমেলায় আমাদের যেইটা স্থায়ী ঠিকানা, মানে লিটলম্যাগ চত্ত্বরে। গিয়া দেখি ফাঁকা ফাঁকা। পরিচিত লোকজন তো নাইই, অপরিচিত লোকজনও কম।
এইবার রওনা দিলাম মেলা ঘুইরা দেখনের উদ্দেশ্যে। দিলাম দুইটা চক্কর। এরপরেও কেউরে দেখিনা। তো ভাগ্নীর জন্যে কিছু বই কিনে নিয়ে বেরয়ে পরলাম। মেলা থিকা বেরইয়া একটু আগাইতেই এক আপুর আর তার কন্যের লগে দেখা। বেশ কয়েকমাস পর দেখা হইলো, কুশল বিনিময় করতে করতে উনাদের সাথে আবার ঢুকলাম মেলায়। উনাগো লগে ঘুরতেসি, দেখা হইলো মাসুম ভাইয়ের সাথে। উনার হাতে কয়েকটা বই দেখলাম। হাই হ্যালো কইরা আবার আপুগো সঙ্গী হইলাম। শুধু এইটুকু জানা হইলো মাসুম ভাইয়ের বই আগামী সপ্তা নাগাদ আসতেসে। একটু আগাইতে আগাইতে দেখা হইলো ফটোগ্রাফার মইন আর মুক্তার ভাইয়ের সাথে। উনাগো রাইখা আগায়ে গেলাম। তো, আপুগো বই কেনাকাটা শেষ হইলে তাগোরে আগায়া দিতে গেলাম টিএসসি, এর ভিতরে লীনাপুর ফোন, উনি চইলা আসছেন। আবার ফিরে আসলাম মেলায়।
আবার স্থায়ী ঠিকানায় প্রত্যাবর্তন, লীনাপুরে ফোন দিলাম উনি কইলেন স্থায়ী ঠিকানায় আসতেসেন। উনি যখন আসলেন তখন তার সাথে দেখি পারভীন আপাও আছেন। উনাদের সাথে কথা কইতে কইতে লীনাপুর ফোনে শান্তর টেক্সট বা ফোন কিছু একটা। শান্ত নাকি স্থায়ী ঠিকানাতেই আছে। একটু চোখ ঘুরাতেই পাইয়া গেলাম শান্তরেও। বেশ চেনাজানা মানুষদের দেইখা সব ক্লান্তি ফ্লান্তি দৌড়ায়া পালাইলো। এরপর গেলাম শুদ্ধস্বরের সামনে, ঐখানে গিয়া লীনাপু আমাদেরকে বই কিনে দিলেন। লীনাপুর বড় ভাই মোস্তাক শরীফ ভাইয়ার অনুদিত সিলভিয়া প্লাথের উপন্যাস দ্য বেল জার আর রিভিউ গ্রন্থ বিষয় গল্পগুচ্ছ। গুলতানি চলছে, এর ভিতরে চলে আসলেন কামাল ভাই। উনার বই এখনো আসে নাই, এইটাও আগামী সপ্তাহের ভিতর চলে আসবে। জানলাম গত বছর ( একেবারে ঠিকঠাক ভাবে বলতে গেলে ৩৬৫-২৯ দিন) মেলার সময় থেকেই কামাল ভাই আমার উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ। কারণটা নাহয় না ই বললাম। এরপর কামাল ভাই শুদ্ধস্বরে খোঁজ নিতে পাঠালেন লীনাপুকে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু'র লেখা একমাত্র বাংলা ভাষার বই অব্যক্ত আসছে কি না জানতে। এর ভিতরে আমরা জেনে গেলাম এই বইটার মুখবন্ধ লিখছেন কামাল ভাই। না বাংলা ১৩২৮ সনে নয়, ইংরেজী ২০১২ সালে। আমরা যে কয়জন ছিলাম, তাদের সাথে আরো কয়েকজন যোগ হয়ে গেছেন ইতিমধ্যে (বানান ঠিক হইলো কি না জানিনা) তো এই বইটাও লীনাপু অনেকেরে কিনে দিলেন। এবং মুখবন্ধের লেখকের কাছ থিকা অটোগ্রাফ নেবার লাইনে দাড়ায়ে পড়লাম সবাই। এর ভিতর রণদা'রাও এসে পড়েছিলেন। অটোগ্রাফ নেবার পর রণদা'র সাথে স্থায়ী ঠিকানায় গেলাম বিড়ি খাইতে। সেইখানে গিয়া দেখা কৌশিকদা, নাহল, সবাক, মুজিব মেহেদী এদের সাথে। বিড়ি বুড়ি খায়া শুদ্ধস্বরের সামনে ফিরে আইসা দেখি কেউই আর নাই।
ফিরত রওনা দিলাম বাসার দিকে, আর আমার ২০১৩ বইমেলার পয়লা দিনের ঘুরান্তিস শেষ হইয়া গেলো...
সারাদিন ভাবসি যে আইজকাও বইমেলায় যামুনা, কিন্তু হঠাত ৪টার দিকে মনে হইলো- কি আছে জীবনে, যাইগা এইবারের বইমেলায় পয়লা চক্কর দিয়াই আসি। দিলাম দৌড়। গতবছরেও মেলার দ্বিতীয় দিন যেই লাইন আর ভীড় দেখসিলাম, সেইটা এইবার আর দেখলামনা। আর ফুটপাথের সাইডে যেই দোকান গুলা থাকে সেগুলাও পাইলাম না। কেরম জানি ন্যাড়া ন্যাড়া লাগতেছিলো। যাই হোক, ঢুইকা পড়লাম মেলার ভিতর। ঢুইকাই দৌড়, গত তিনবছর ধইরা বইমেলায় আমাদের যেইটা স্থায়ী ঠিকানা, মানে লিটলম্যাগ চত্ত্বরে। গিয়া দেখি ফাঁকা ফাঁকা। পরিচিত লোকজন তো নাইই, অপরিচিত লোকজনও কম।
এইবার রওনা দিলাম মেলা ঘুইরা দেখনের উদ্দেশ্যে। দিলাম দুইটা চক্কর। এরপরেও কেউরে দেখিনা। তো ভাগ্নীর জন্যে কিছু বই কিনে নিয়ে বেরয়ে পরলাম। মেলা থিকা বেরইয়া একটু আগাইতেই এক আপুর আর তার কন্যের লগে দেখা। বেশ কয়েকমাস পর দেখা হইলো, কুশল বিনিময় করতে করতে উনাদের সাথে আবার ঢুকলাম মেলায়। উনাগো লগে ঘুরতেসি, দেখা হইলো মাসুম ভাইয়ের সাথে। উনার হাতে কয়েকটা বই দেখলাম। হাই হ্যালো কইরা আবার আপুগো সঙ্গী হইলাম। শুধু এইটুকু জানা হইলো মাসুম ভাইয়ের বই আগামী সপ্তা নাগাদ আসতেসে। একটু আগাইতে আগাইতে দেখা হইলো ফটোগ্রাফার মইন আর মুক্তার ভাইয়ের সাথে। উনাগো রাইখা আগায়ে গেলাম। তো, আপুগো বই কেনাকাটা শেষ হইলে তাগোরে আগায়া দিতে গেলাম টিএসসি, এর ভিতরে লীনাপুর ফোন, উনি চইলা আসছেন। আবার ফিরে আসলাম মেলায়।
আবার স্থায়ী ঠিকানায় প্রত্যাবর্তন, লীনাপুরে ফোন দিলাম উনি কইলেন স্থায়ী ঠিকানায় আসতেসেন। উনি যখন আসলেন তখন তার সাথে দেখি পারভীন আপাও আছেন। উনাদের সাথে কথা কইতে কইতে লীনাপুর ফোনে শান্তর টেক্সট বা ফোন কিছু একটা। শান্ত নাকি স্থায়ী ঠিকানাতেই আছে। একটু চোখ ঘুরাতেই পাইয়া গেলাম শান্তরেও। বেশ চেনাজানা মানুষদের দেইখা সব ক্লান্তি ফ্লান্তি দৌড়ায়া পালাইলো। এরপর গেলাম শুদ্ধস্বরের সামনে, ঐখানে গিয়া লীনাপু আমাদেরকে বই কিনে দিলেন। লীনাপুর বড় ভাই মোস্তাক শরীফ ভাইয়ার অনুদিত সিলভিয়া প্লাথের উপন্যাস দ্য বেল জার আর রিভিউ গ্রন্থ বিষয় গল্পগুচ্ছ। গুলতানি চলছে, এর ভিতরে চলে আসলেন কামাল ভাই। উনার বই এখনো আসে নাই, এইটাও আগামী সপ্তাহের ভিতর চলে আসবে। জানলাম গত বছর ( একেবারে ঠিকঠাক ভাবে বলতে গেলে ৩৬৫-২৯ দিন) মেলার সময় থেকেই কামাল ভাই আমার উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ। কারণটা নাহয় না ই বললাম। এরপর কামাল ভাই শুদ্ধস্বরে খোঁজ নিতে পাঠালেন লীনাপুকে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু'র লেখা একমাত্র বাংলা ভাষার বই অব্যক্ত আসছে কি না জানতে। এর ভিতরে আমরা জেনে গেলাম এই বইটার মুখবন্ধ লিখছেন কামাল ভাই। না বাংলা ১৩২৮ সনে নয়, ইংরেজী ২০১২ সালে। আমরা যে কয়জন ছিলাম, তাদের সাথে আরো কয়েকজন যোগ হয়ে গেছেন ইতিমধ্যে (বানান ঠিক হইলো কি না জানিনা) তো এই বইটাও লীনাপু অনেকেরে কিনে দিলেন। এবং মুখবন্ধের লেখকের কাছ থিকা অটোগ্রাফ নেবার লাইনে দাড়ায়ে পড়লাম সবাই। এর ভিতর রণদা'রাও এসে পড়েছিলেন। অটোগ্রাফ নেবার পর রণদা'র সাথে স্থায়ী ঠিকানায় গেলাম বিড়ি খাইতে। সেইখানে গিয়া দেখা কৌশিকদা, নাহল, সবাক, মুজিব মেহেদী এদের সাথে। বিড়ি বুড়ি খায়া শুদ্ধস্বরের সামনে ফিরে আইসা দেখি কেউই আর নাই।
ফিরত রওনা দিলাম বাসার দিকে, আর আমার ২০১৩ বইমেলার পয়লা দিনের ঘুরান্তিস শেষ হইয়া গেলো...