রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০০৯

হাতুড়ে কাব্য ৩১ (স্বমেহন বা গোপন সুখানুভুতি)

নিজ পুরুষাঙ্গে গোপন স্পর্শেরগোপন সুখানুভুতি,সার সার বর্শা কাঁধেছুটে চলা অ্যাড্রিনালিন,রক্তাক্ত সুড়ঙ্গেরভেতর পথেছুঁয়ে যায় এন্ডোডার্মিসেস্নায়ুর ইন্ট্রানেট,যোগাযোগগড়ে উঠতে থাকেনিউরোট্রান্সমিটার থেকে নিউরোট্রান্সমিটারে,হৃদছন্দে দামামা।মাইটোকন্ড্রিয়ায় বিপাক,জ্বালানী অক্সিজেন।নাসারন্ধ্র স্ফীত।ফুসফুসে দ্রুতলয়।পেশীর সংকোচন,প্র সা র ণস্পন্জি টিস্যুর,উত্থান_____বিপাকীয় অক্সিজেনউত্থান_____দ্রুতলয়উত্থান_____দামামা ছন্দউত্থান_____চকিত ক্ষরণের উন্মাতাল সুখঅতঃপর.......নিস্তেজতা ধীঈঈঈরে ধীঈঈঈঈ..........রে।

হাতুড়ে কাব্য- ৩০ (হায়েনা আর শেয়ালের দাঁতের যুগলবন্দী) স্বরণ লালন ভাস্কর্য

ক্লীব মৌলবাদের অশ্লীল আঁচড়েনন্দনত্বত্ত পথ খুঁজে ফেরে ধর্মের কানাগলিতে,অদ্ভুত উল্লাসে মেতে ওঠে হায়েনারা,আর মানবতার সমাধি তৈরি হয়নির্বোধ কিছু টুপি দাঁড়ির জঙ্গলে।সুবিধাবাদী কিছু সুশীলতাজেগে ওঠে,নাম জপে মানবতার,ফেনা উঠিয়ে ফেলেমুক্তচিন্তা-দিন বদলের প্রেস্ক্রিপশন-দেশ-দশের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথায়,মারপ্যাঁচের ভিতরেও প্রকাশিত হয়ে পড়েব্যক্তিগত আক্রোশ।সুশীলতার আইফেল টাওয়ার,বস্তুত পর্যবসিত হয়পিসার হেলানো টাওয়ারে,সিংহভাগ হেলে পরে কিন্তুমৌলবাদের দিকেই।অশীল কিছু মানুষপথের ধারে হাতে হাত রেখেদাঁড়ায়,যেন গোরস্থানের সমাধি ফলক।পাতার মরমরমের শব্দেউচ্চারিত হয় প্রতিবাদ,যতক্ষণ ঝড় বয়ে যায়।একসময় নীরবতা নামে-অমাবস্যায় শশ্মানের স্তব্ধতা,মাঝে মাঝে শুনা যায়শেয়ালের ডাকআর মানবতার হাড় ভাঙ্গার শব্দ।

হাতুড়ে কাব্য- ২৯ (অফিসিক সময়ে)

অফিসিক সময়ে দেখলাম তোমাকেদুজনের মাঝে বসে আছো জড়সড় হয়ে,পুরুষ্করুণার শিকার হয়তোবা;সংযমক্লিষ্ট শরীর আরো সংকুচিত করে নিয়েছোআরো সংকুচিত, আরো সংকুচিত, আরো সংকুচিত, পারলে মিশে যাও সিটের সাথে।আনত চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝেই চলে যাচ্ছেছুটে চলা বা থেমে থাকা গাড়িগুলোর দিক।এই মাত্র বাঁপাশে বসা ঘুমন্তজন ঝুঁকে পড়লো তোমার উপর,চেহারায় বেদনার ছাপ নিয়ে হয়ে পড়লেআরো সংকুচিতডানের শুশ্রুমন্ডিত জনের ইচ্ছা হলো নিজের পেট চুলকাবার,তোমার দেহ ছুঁয়েই যেতে হবে তার হাতেরতাছাড়া অন্য রুট পরিচিত নেই হাতের।সময় হলো তোমার আরো আরো সংকুচিত হবার।

হাতুড়ে কাব্য-২৮ (আহা)

দুষ্টু হাওয়া, মিষ্টি হাওয়া,বুকের মাঝে অবাধ চাওয়া।শুনতে কি পাওরাখাল বাঁশি?দেখতে কি পাওসবুজ রাশি?তোমায় দেবো অবাক আদরভালোবাসার উষ্ন চাদরসবুজ রাশি, রাখাল বাঁশিমিষ্টি হাওয়ার দুষ্টু হাসি।__________________________________শানে নজুলঃ- কিছুদিন আগে সাময়িক প্রেমে পড়ছিলামতখন এইটা নাজিল হইসিলো।

হাতুড়ে কাব্য ২৭ (যাওয়া কিংবা আসা)

সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া কিংবা নেমে আসায়কোন পরাবাস্তবতা নেই;আছে শুধু সুতীব্র বাস্তবতার স্পর্শ।তবু উঠে যেতে যেতে যেনঅতিক্রান্ত হয় বিভিন্ন ডাইমেনশন।আর নামতে নামতে যেনফিরে পাওয়া হয় সব স্মৃতি।

হাতুড়ে কাব্য-২৬ (হৃদয় ও অস্তিত্ব বিষয়ক)

[অনেক আগের লেখা হাতুড়ে]অস্তিত্বে আঘাত আমার,আহত অস্তিত্ব মাথাকুটে মরেশতাব্দীর সিংহদ্বারে।দ্বাররক্ষীর অঙ্গুলী হেলনেছুটে আসে সহস্র প্রহরী,আমায় নিক্ষেপ করে আঁধারে।নিষ্পেষিত নিঃশেষিত আমিসচেষ্ট হই।পুনরায় হাজির হইশতাব্দীর প্রবেশ ফটকে,দ্বাররক্ষীকে ভেট দেই আমার হৃদয়;প্রবেশ করি শতাব্দীর চাতালে,হৃদয় হীনতার অভিশাপ নিয়ে।

হাতুড়ে কাব্য-২৫ (অন্তর্মুখী)

ইনট্রোভার্ট স্বপ্নগুলোঝাঁঝালো রোদ মেখে জেগে ওঠেশীতেলা ওম জড়ানো লেপের ভাঁজে;আলতো জলস্পর্শেচোখের পাতা থেকেও বিদায়;মন ও মগজে জমতে থাকে বাস্তবতার পলির পরত,সাথে অতৃপ্ততার পলিপ্যাক।নিরানন্দ আনন্দরা খেলতে থাকেপরাবাস্তব ফ্লাডলাইটের আলোয়;চিৎকার করে ওঠে হাজারো অনুভুতিহীন দর্শক;শেষ রাতের শেষ সিগারেটের শুরুতেআবার হানা দেয় ইনট্রোভার্ট স্বপ্নগুলো।

হাতুড়ে কাব্য-২৪ (বার্ধক্যের বারকোড)

বারকোডের আলো আঁধারীতেসুপ্ত প্রতিভা,রক্তাভ লেজারের আলতো চুমুতেইডিসপ্লেতে প্রকাশিত।পাঁড় মাছুড়ের চতুর ছিপ স্লাইডিং একানকো বিদ্ধ চকচকে বড়শীতে,ইনকাম না হলেকাল থেকে অবিরাম ভুখ হরতাল।আকাশ ছোঁয়া লোলচর্ম স্বপ্ন শুধুজুঁই সাদা একথালা ভাত;বুকের মাঝে আজও কি কেউ ডাকে'ইনকিলাব জিন্দাবাদ?'

হাতুড়ে কাব্য-২৩ ("তুমি")

ব্লাডি মেরীর রূপালী গবলেটেছোট্ট একটা সিপ করেই,তুমি যা'গা করে নিলেআয়নার ইনভার্টেড কমার মাঝে।আঁটো করে বাধলে কাঁচুলী,শরীর ঢাকলে প্যারিস সুগন্ধীতে,ঠোঁট দুটোকে রাঙিয়ে নিলেগ্লিটারিং গ্লসি লিপস্টিকে,চোখের কোনে বুঝিবা একটু জলাভাস?তড়িৎ টিস্যু স্পর্শ করেইসাজালে সুক্ষ্ম কাজল পেন্সিলে;আঁখিপল্লবে হালকা মাশকারা।রাতের জন্য সাজটা কি একটু হালকা হলো?গালের দুপাশেতীব্র রুজ ছুঁইয়েস্কীনটোন টা কিছুটা আপ করে নিলে।এবার, ইনভার্টেড কমায় নিজেকে দেখেনিজেরই আরোপিত মুগ্ধতা।ভুলে কি গেছো মেয়ে?কিছু পরেই তোমায় ইনভার্টেড কমায়ফিরতে হবে আবার?এভাবে বহুবার প্রতিরাতে?

হাতুড়ে কাব্য-২২ (কর্পোরেট বিছিন্নতা)

সুরেলা কন্ঠে গেয়ে ওঠেদেয়ালের ছবি;কবি নেচে ওঠে বিমুর্ত ছন্দে;নর্তক নর্তকীরা হুইস্কীস্নাতপান্থশালায় জাবর কাটে;গাইয়ে রা ঘুমিয়ে পড়ে আস্তাবলের আশ্রয়ে;কিষাণের চোখে জাগে মার্সিডিজ জল;চুমুকেই পরিপূর্ণ হয় পানপাত্র।অতঃপর স্খলিত দেহেচড়ে বসা মানবী দেহে।ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকানো ওম্যান, নো ক্রাই....

হাতুড়ে কাব্য-২১ (পুরোনো রাস্তা কিংবা স্মৃতি)

শেষ মাঘের শীতার্ত বিকেল;মরাটে হলদে আভা মাখানোছায়া ঢাকা ধুসর পীচের মসৃণ রাস্তা;এদিক ওদিক খোলামকুচির মতছড়ানো ছিটানো কিছু আলোর টুকরো;হঠাৎ একঝলক হাওয়া---ঝিরঝির শব্দ তুলে উড়তে থাকাপাতা; খুলে যাওয়া স্মৃতির দরজা;সব একাকার হয়ে যায়।তারুণ্য, কৈশোর, শৈশব............মন ডুবে যায় অতীতে,বর্তমান ঢেকে যেতে থাকে কুয়াশায়,আচমকা ঘোলাটে চাঁদের আলো---ফিরিয়ে আনে বহু ব্যবহৃত পুরোনো রাস্তায়।

হাতুড়ে কাব্য-২০ (নির্বীর্য)

ভালোবাসা;জানিনা।ঘৃণা করা;জানিনা।প্রত্যাখান;জানিনা।আহ্বান;জানিনা।উচ্ছেদ;জানিনা।পুনর্বাসন;জানিনা।পথ চলা;জানিনা।বসে থাকা;জানিনা।সহ্য করা;জানিনা।প্রতিবাদ;জানিনা।জানিনা!আমি কিছুই জানিনা....

হাতুড়ে কাব্য-১৯ (জানিনা, বুঝিনা)

আকাশ ভেঙ্গে জোছনা ঝরছেঘাসের গন্ধে মাতোয়ারা ঘাসফড়িংমধুর লোভে ঘুরছে মৌমাছিযেন একটা আধিভৌতিক আবহ।সবকিছু ছাপিয়ে ওঠে চিৎকারবিভৎস, বিকৃত, লালসাপূর্ণ শীৎকার।তাদের চোখে এই সৌন্দর্য অসাড়;কিন্তু কেন?আসলেই কি দৈহিক সুখসব কিছুর উর্ধ্বে?জানিনা, বুঝিনা...এই ছোট্ট মাথায় কিছুই ধরেনা।..............................................হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃএই না হলে তুমি খাঁটি.........খাঁটি কি?খাঁটি পাগল, আর কি?হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ

হাতুড়ে কাব্য-১৮ (স্বপ্ন)

স্বপ্ন আঁকিস্বপ্ন বাধিস্বপ্ন করিচাষ,মাথার মাঝেকিলবিলে সবস্বপ্ন পোকারবাস।স্বপ্ন পোকাস্বপ্ন খোঁজেস্বপ্ন ভরামাঠে,মনের মতস্বপ্ন পেলেঠোঁটটা ডুবায়তাতে।ঠোঁট ডুবে যায়শরীর ডোবেস্বপ্ন ভরাডোবায়,স্বপ্ন পোকাখুব খুশি হয়স্বপ্ন যখনকাঁদায়।স্বপ্ন হাসায়স্বপ্ন কাঁদায়স্বপ্ন ভাঙ্গেগড়ে,ভাত ঘুমে যায়উদাস দুপুরস্বপ্ন নড়েচড়ে।দুপুর ফুরায়বিকেল জাগেসন্ধ্যে আসেধেয়ে,স্বপ্ন পোকারশরীর জাগেআঁধার ছোঁয়াপেয়ে।আঁধার মাখাস্বপ্ন তাতেআলোর ছায়াওথাকে,আলোআঁধারস্বপ্ন পোকাএকই পথেহাঁটে।চলতে পথেহাঁপিয়ে ওঠেঘুমিয়ে পড়েশেষে,সকালবিকেলসন্ধ্যাদুপুররাতের সাথেমিশে।