ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন
স্বস্তির বারিধারা
মাটির সোঁদা গন্ধ
কিছুই ভালো লাগেনা।
ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন
পবিত্রতার সংজ্ঞা
জীবনের চাওয়া পাওয়া
সবই অসাড় মনে হয়।
ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন
আমার বেঁচে থাকা
আমার পথচলা
আমার ভালবাসা
আমার সব ঘৃণা
আমার পরাজয়
আমার যুদ্ধ করা
কোনকিছুর অর্থ পাইনা।
ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন
ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন
ক্লেদাক্ত শরীর
অপবিত্র মন..................
অস্তগামী চাঁদের সাদা জোছনা ছড়িয়ে পড়ে সবুজ চাদরে/ আলো অন্ধকার আটকা পড়ে মীনচোখ বৃত্তে/ মাৎসন্যায় ঘটে যায় রক্তমাখা তীর সঞ্চালনে/ সবাই বন্দী রয় বৃত্তে...
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০০৮
হাতুড়ে কাব্য-১৬ (দৃশ্যময় আগ্রাসন)
আমি উড়তে চেয়েছিলাম,
মেঘেরাও আমায় ডানা পাঠিয়েছিলো।
এমন সময় মুঠোফোনে অণুরনণ
ওপাশে তুমি
হয়ে গেলাম রাখালিয়া বাঁশি।
উদাসী দুপুরের মায়াসিক্ত
থরোথরো কেঁপে ওঠা সুরে
মেঘেরা নেমে এলো মাঠে।
বাস্তুচ্যুত হলো ঝিঁ ঝিঁ পোকা
কোলাব্যাঙের চকিত বিদ্যুৎ জিহ্বা প্রক্ষেপণে
নিমেষেই আবদ্ধ সাংসারিক বেড়াজালে।
টেবিলের সামনে বোর্ডপিন দিয়ে আটকানো মৃগনাভি নির্যাস--
যেন কমোন্মত্ত ভীষ্ম আজ
সরকারী নির্দেশে আবদ্ধ।
জন্মরোধকের নিবীড় স্পর্শে
অতৃপ্ততা।
বাষ্পরুদ্ধ চোখে জাগে
কুয়াশা মাখা রোদ।
অসংলগ্ন টি-পটের
পটচিত্র বেয়ে নামে
পেঁজা তুলো মেঘ
ম্যাটাডরের বাহুতেই যায়
ভালবাসাহীন বসুন্ধরা
_____________________________________________
(কাব্যের প্রথম দু লাইন "শিলাজিতের" "ফিসফিস" এ্যলবামের "উড়তে চেয়েছিলাম" গান অবলম্বনে)
মেঘেরাও আমায় ডানা পাঠিয়েছিলো।
এমন সময় মুঠোফোনে অণুরনণ
ওপাশে তুমি
হয়ে গেলাম রাখালিয়া বাঁশি।
উদাসী দুপুরের মায়াসিক্ত
থরোথরো কেঁপে ওঠা সুরে
মেঘেরা নেমে এলো মাঠে।
বাস্তুচ্যুত হলো ঝিঁ ঝিঁ পোকা
কোলাব্যাঙের চকিত বিদ্যুৎ জিহ্বা প্রক্ষেপণে
নিমেষেই আবদ্ধ সাংসারিক বেড়াজালে।
টেবিলের সামনে বোর্ডপিন দিয়ে আটকানো মৃগনাভি নির্যাস--
যেন কমোন্মত্ত ভীষ্ম আজ
সরকারী নির্দেশে আবদ্ধ।
জন্মরোধকের নিবীড় স্পর্শে
অতৃপ্ততা।
বাষ্পরুদ্ধ চোখে জাগে
কুয়াশা মাখা রোদ।
অসংলগ্ন টি-পটের
পটচিত্র বেয়ে নামে
পেঁজা তুলো মেঘ
ম্যাটাডরের বাহুতেই যায়
ভালবাসাহীন বসুন্ধরা
_____________________________________________
(কাব্যের প্রথম দু লাইন "শিলাজিতের" "ফিসফিস" এ্যলবামের "উড়তে চেয়েছিলাম" গান অবলম্বনে)
হাতুড়ে কাব্য-১৫ (ভাবনাগুলো)
রোজ রাতে চোখে
চিটাগুড় লেগে চটচট
করে ওঠে
ঘুমোতে গেলেই শব্দগুলো
কাঁটার মত ফোটে;
আমি ভাবি পথ,
দৃষ্টি আমার তপ্ত বিকেল রোদে,
খুঁজে ফেরে মাঠ
সজীব দুপুর
গড়াগড়ি দেয় ছাদে;
আমি আঁকি গান,
সুরেরা পালায়
চৈতালি নীল সাঁঝে;
জীর্ণ জামার,
শীর্ণতা ছুঁয়ে
সোনারঙা ভোর জাগে।
চিটাগুড় লেগে চটচট
করে ওঠে
ঘুমোতে গেলেই শব্দগুলো
কাঁটার মত ফোটে;
আমি ভাবি পথ,
দৃষ্টি আমার তপ্ত বিকেল রোদে,
খুঁজে ফেরে মাঠ
সজীব দুপুর
গড়াগড়ি দেয় ছাদে;
আমি আঁকি গান,
সুরেরা পালায়
চৈতালি নীল সাঁঝে;
জীর্ণ জামার,
শীর্ণতা ছুঁয়ে
সোনারঙা ভোর জাগে।
হাতুড়ে কাব্য-১৪ (লাশ কিংবা সংগ্রাম)
রোদ্দুরে লাশের চিৎকার শুনি,
চড়ুইয়ের ধুসর পায়ের নখে
লাশের আর্তনাদ শুনি।
খানাখন্দে ভরা হাইওয়ে
লাশের মিছিলে কম্পিত,
লাল, কালো, সবুজ ব্যানার শোভিত।
লাশেরাও স্বপ্ন দেখে,
সাদা কালো লাল নীল
বহু রঙে বর্ণীল।
স্বপ্নীল দু চোখ মেলেচেয়ে থাকে লাশ,
জীবনের প্রতি আজো অভিলাষ।স্ব
প্নীল পীড়নে নেচে ওঠে
লাশের বিদীর্ণ হৃদয়, রক্ত,
কোষ, ডি.এন.এ, ক্রোমোজম।
সংগ্রাম; তৃণমূল থেকে।
চড়ুইয়ের ধুসর পায়ের নখে
লাশের আর্তনাদ শুনি।
খানাখন্দে ভরা হাইওয়ে
লাশের মিছিলে কম্পিত,
লাল, কালো, সবুজ ব্যানার শোভিত।
লাশেরাও স্বপ্ন দেখে,
সাদা কালো লাল নীল
বহু রঙে বর্ণীল।
স্বপ্নীল দু চোখ মেলেচেয়ে থাকে লাশ,
জীবনের প্রতি আজো অভিলাষ।স্ব
প্নীল পীড়নে নেচে ওঠে
লাশের বিদীর্ণ হৃদয়, রক্ত,
কোষ, ডি.এন.এ, ক্রোমোজম।
সংগ্রাম; তৃণমূল থেকে।
হাতুড়ে কাব্য- ১৩ ( মূলতঃ আশা )
দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে দাবানল।
সবুজ আশার বনানী
নিমেষেই ভষ্মীভুত।
নিরাশার দগ্ধভুমির ঊষর প্রান্তরে
আশার অংকুরোদগম।
বাঁচার প্রেরণা মূলতঃ সেটাই।
সবুজ আশার বনানী
নিমেষেই ভষ্মীভুত।
নিরাশার দগ্ধভুমির ঊষর প্রান্তরে
আশার অংকুরোদগম।
বাঁচার প্রেরণা মূলতঃ সেটাই।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)