রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪

শ্রীময়ী, তোমাকে...

শ্রীময়ী,
পত্রের শুরুতে হৃদয় নিঃসৃত ভালোবাসা জেনো। পর সমাচার এই যে, অকাল বর্ষা নেমেছে আমার শহরে এবং মনে। তুমি কি শুনেছো সেই বৃষ্টির শব্দ, চৈতালি বাতাস কি বৃষ্টির ঘ্রাণ বয়ে নিয়েছে তোমার ঘরে?

জানো, সেই কৃষ্ণচুড়া গাছটায় এবার আর নতুন পাতা আসেনি। কসমস ফুলগুলি মরে যাবার পর, নতুন কোনো বুনোফুলও ফোটেনি আমাদের সহজিয়া বাগানে।

অপুদের বিদেশী কুকুরটা খুব বেশী বুড়ো হয়ে গেছে আজকাল, সাদা পশমগুলোয় কেমন যেনো তামাটে আভা। চোখেও দেখেনা ভালোমত। শুধু আমি কাছে গেলে ভুকভুক করে কেমন জানি দুঃখের ডাক ডাকে।

বহ্নিশিখার কথা মনে আছে তো? ওদের বাগানে এখন নয়তলা বিল্ডিং। পুরোনো যেই লিচু গাছটায় আমরা দোলনা টাঙাতাম ফি বছর, সেটাও কাটা হয়ে গেছে অনেকদিন হ'লো। হয়তো কারো বাসায় দরজা হয়ে রয়ে গেছে স্মৃতিচিহ্ন কিংবা কারো চুলোয় অঙার।

শ্রীময়ী, তুমি মরে গিয়ে বেঁচে গেছো। আমি বেঁচে থেকে মরে যাই প্রতিদিন। প্রতিটা স্মৃতি আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায় অষ্টপ্রহর।

হয়তো দেখা হবে মরে গিয়ে বেঁচে উঠবার পর, ততদিন ভালো থেকো শ্রীময়ী...

ইতি,
তোমারই আমি