মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

গিফট

অনেক দিন পর একটা গিফট এসেছে এই ঠিকানায়।

গোলাপী রঙের র‍্যাপিঙ পেপারে মোড়ানো একটা বাক্স।
র‍্যাপিঙ পেপারের উপরে ছোট ছোট লাল রঙের হৃদয়ের চিহ্ন
এক কোনে আবার বেশ আর্টিস্টিক ধরণের ডিজাইন করা।
প্রেরকের নাম লেখা ট্যাগটা কিছুটা ফুলের মত আকৃতির, সবুজ রঙের
প্রাপকের নাম লেখা আছে সাদা জমিনে, কালো কালিতে, আয়তাকার একটা কার্ডে।
চেনা নাম দেখে আগ্রহ বেড়ে ওঠে
বক্সটা খোলার উদগ্র একটা বাসনা জেঁকে ধরে।

ব্যাস্ত হাতে ছিঁড়ে ফেলি গোলাপী র‍্যাপিঙের আবরণ।
ভেতরে হলুদ কাগজের যে বাক্সটা
যেনো চারকোনা একটা হলুদ সূর্য,
অমোঘ আকর্ষণে ডাকছে কোনো গ্রহাণুকে।

আবার ক্ষীপ্র হাতে খুলে ফেলি হলুদ কাগজের বাক্স
উৎসুক দৃষ্টি ছুঁড়ে দেই ভিতরে।
দেখি ভাঙা কাঁচের টুকরো দিয়ে তৈরী বিছানায়
নিশ্চুপ শুয়ে আছে,
একটা হৃদয়।

কোনো এক সময় তোমাকে দেয়া আমার উপহার।

হাতুড়ে কাব্য-২ (অসামাজিক)

অশ্লীল রাতের পরিশ্রম শেষে

শ্লীলতার শয্যায় শায়িত

বেশ্যা............

প্রকাশ্য দিনের আলোতে

অপ্রকাশ্য তার মনের বেদনা।

উদয়াস্ত পরিশ্রম! তার জন্য অসাড়

বরং অস্তোদয় পরিশ্রম করে সে

কে দায়ী?

আমি?

তুমি?

না কি এই অসামাজিক সমাজ?

প্রশ্ন নিজের কাছেইকোনো উত্তর নেই।

পাবো কি উত্তর কোনো?

হয়তো না।

এভাবেই থেকে যাবে তারা

আমাদের মত বিকৃত কিছু মানুষের

বিকৃত লালসাবিকৃত ভোগ বিলাস

বিকৃত উপভোগের মাধ্যম হিসাবে।

এই আমিই,

এই তুমিই,

এই অসামাজিক সমাজই

ধর্মের ধুঁয়া তুলবো দিনে

আর রাতে রমনায় জিঙ্জাসা করবো

১০০ কেন ৫০ এ হয়না?

সময় ও অস্থিরতার শব্দ

বিষণ্ণ কবিয়াল
আয়নাগ্রন্থে লিখে চলে অস্থিরতার গান।

মেঘের ছায়া পড়ে
দ্রোহের প্রতিবিম্ব তীব্র গতিতে ছুটে যায়
আঙ্গুলের তেলতেলে রেখারা জমে পাতায় পাতায়
ঘেমে ওঠা হাতের স্পর্শ জেগে থাকে ফুটনোটে এবং মার্জিনের এখানে সেখানে।


অবসন্ন কবি
বই পোড়া ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পায় রক্তের দাগ
অশ্রুর ছাপ
অস্থিরতার শব্দ বাঁধা পড়ে দোতারার তারে
জনতার পদশব্দে।

চন্দ্রাহত তরুণ
মাতাল জোছনায় ফিরে ফিরে চায় আকাশে
যেখানে রিক্ত পাতা আর শাখারা ঘিরে রাখে সুগোল যুবতী চাঁদ
নগরের সুউচ্চ অট্টালিকার দল জেলখানা হয়ে জানালায় চোখ রাখে।

আয়নায় প্রতিধ্বনিত হয় সময় ও অস্থিরতার শব্দাবলী...