স্পর্শঘোর...
তোমাকে কখনো শাড়িতে দেখিনি আমি, শুধু ছবি ছাড়া। কতোবার ভেবেছি বলব একদিন শাড়ি পরতে, বুকের দুরুদুরু ছন্দ ছাপিয়ে ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি শব্দ গুলো। একদিন আসইনা ... পেয়াজখসী আঁচল জড়ানো তোমাকে দেখি প্রাণ ভরে। হয়তো সেদিন ভুলকরে ছুঁয়ে দেবো তোমার হাত কিংবা শাড়ির আঁচল। স্পর্শঘোর জমা হবে স্মৃতির একান্ত সিন্দুকে...
শব্দঘোর...
তোমার আঁচলে আঁকা স্পর্শঘোর ছবি হয়ে গেলে, বসে থাকি নীরবে। ছবিটায় শব্দ ছোঁয়ালেই হয়ে উঠবে কবিতা, আর তুমি কবিতাটা একবার পড়লেই হয়ে যাবে গান। কিছু কিছু গান, কেন জানি বসে যায় বুকের ভেতর। রোদ গলে পড়া দুপুরে সেই গান শুনলেই বৃষ্টি নামে মনের নিকোনো উঠোনে। ঝিলিমিলি সেই উঠোনে তোমার উচ্চারিত শব্দগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে। শব্দঘোরে ডুবে যায় চরাচর...
সময়ঘোর...
শব্দ ঘোরের বৃষ্টি সময়ের দেয়ালে আঁকিবুঁকি কাটে। উচ্ছল হয়ে রঙধনুর পিচকারী নিয়ে আকাশে উড়ে বেড়ায় রঙীন পাখির ঝাঁক। কিচিরমিচির গানগুলো একে একে রিকশার টুনটুন ঘন্টায় নেচে নেচে বেড়ায়। তোমার চোখে ছায়া পড়ে, তোমার চোখে আলো জ্বলে, তোমার নাকফুলে ঠিকরে যায় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড। আমি সেইসব আলোছায়া সময়ঘোর নিয়ে হেটে যাই মজে ওঠা সরকারি খালের কিনার ধরে, নির্বিকার...
ভ্রান্তিঘোর...
সময়ঘোরের পথ বেয়ে সকাল আড়মোড়া ভাঙে। দেয়ালে লেগে থাকা সাময়িক শ্যাওলার খবর জানা হয় তোমার, জানা হয় আমারও। দুএক টুকরো ভ্রান্তিধুসর মেঘ জড়ো হয় সীমাহারা আকাশের আনাচে কানাচে। রঙধনু রঙ চাপা পড়তে থাকে ভ্রান্তিঘোরের বিকেলে...
প্রতীক্ষা ঘোর
নগরের ভ্রান্তিঘোর ভরা সন্ধ্যাগুলো ফ্লাইওভার থেকে ফেরার পথে গাঢ় হয়ে উঠতে থাকে। বুকের ভেতরের দগদগে ক্ষত ঢাকতেই ঘুরে ফিরি বিবিধ শুড়িখানায়। নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে চাই অন্য ধরনের ঘোরের ভিতরে। গ্লাসের পর গ্লাস নি:শেষ করি। কোনো নিদানে পাই না। সকাল দুপুর বিকাল সন্ধ্যা রাত ভোর... সারাসময় জুড়েই ডুবে থাকি তোমায় ভেবে... স্পর্শঘোরে... শব্দঘোরে... সময়ঘোরে... ভ্রান্তিঘোরে এবং সর্বোপরি প্রতীক্ষাঘোরে...
তুমি কি আমার ঘোর গুলোর দিকে তাকাবে তোমার মায়াবী চোখ দুটো তুলে? বুঝবে কি আমার ভালোবাসায় ঘোরগ্রস্ত হবার সুর...
তোমাকে কখনো শাড়িতে দেখিনি আমি, শুধু ছবি ছাড়া। কতোবার ভেবেছি বলব একদিন শাড়ি পরতে, বুকের দুরুদুরু ছন্দ ছাপিয়ে ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি শব্দ গুলো। একদিন আসইনা ... পেয়াজখসী আঁচল জড়ানো তোমাকে দেখি প্রাণ ভরে। হয়তো সেদিন ভুলকরে ছুঁয়ে দেবো তোমার হাত কিংবা শাড়ির আঁচল। স্পর্শঘোর জমা হবে স্মৃতির একান্ত সিন্দুকে...
তোমার আঁচলে আঁকা স্পর্শঘোর ছবি হয়ে গেলে, বসে থাকি নীরবে। ছবিটায় শব্দ ছোঁয়ালেই হয়ে উঠবে কবিতা, আর তুমি কবিতাটা একবার পড়লেই হয়ে যাবে গান। কিছু কিছু গান, কেন জানি বসে যায় বুকের ভেতর। রোদ গলে পড়া দুপুরে সেই গান শুনলেই বৃষ্টি নামে মনের নিকোনো উঠোনে। ঝিলিমিলি সেই উঠোনে তোমার উচ্চারিত শব্দগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে। শব্দঘোরে ডুবে যায় চরাচর...
শব্দ ঘোরের বৃষ্টি সময়ের দেয়ালে আঁকিবুঁকি কাটে। উচ্ছল হয়ে রঙধনুর পিচকারী নিয়ে আকাশে উড়ে বেড়ায় রঙীন পাখির ঝাঁক। কিচিরমিচির গানগুলো একে একে রিকশার টুনটুন ঘন্টায় নেচে নেচে বেড়ায়। তোমার চোখে ছায়া পড়ে, তোমার চোখে আলো জ্বলে, তোমার নাকফুলে ঠিকরে যায় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড। আমি সেইসব আলোছায়া সময়ঘোর নিয়ে হেটে যাই মজে ওঠা সরকারি খালের কিনার ধরে, নির্বিকার...
সময়ঘোরের পথ বেয়ে সকাল আড়মোড়া ভাঙে। দেয়ালে লেগে থাকা সাময়িক শ্যাওলার খবর জানা হয় তোমার, জানা হয় আমারও। দুএক টুকরো ভ্রান্তিধুসর মেঘ জড়ো হয় সীমাহারা আকাশের আনাচে কানাচে। রঙধনু রঙ চাপা পড়তে থাকে ভ্রান্তিঘোরের বিকেলে...
নগরের ভ্রান্তিঘোর ভরা সন্ধ্যাগুলো ফ্লাইওভার থেকে ফেরার পথে গাঢ় হয়ে উঠতে থাকে। বুকের ভেতরের দগদগে ক্ষত ঢাকতেই ঘুরে ফিরি বিবিধ শুড়িখানায়। নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে চাই অন্য ধরনের ঘোরের ভিতরে। গ্লাসের পর গ্লাস নি:শেষ করি। কোনো নিদানে পাই না। সকাল দুপুর বিকাল সন্ধ্যা রাত ভোর... সারাসময় জুড়েই ডুবে থাকি তোমায় ভেবে... স্পর্শঘোরে... শব্দঘোরে... সময়ঘোরে... ভ্রান্তিঘোরে এবং সর্বোপরি প্রতীক্ষাঘোরে...