বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আবারো তোমাকেই, শ্রীময়ী... (২)

প্রিয়তম শ্রীময়ী,


ভালো নেই জানি। মনে রেখো, পাখি শরীরেও জমে মেঘের অসুখ। শরতের ঝকঝকে আকাশ পারেনা আড়ালে লুকিয়ে থাকা বৃষ্টিদাগ ছুঁড়ে ফেলে দিতে। তবু হাসিভরা নীল নিয়ে ঝলমলে করে দেয় অনেকের মন...

সেইযে সেদিন, অল্পেই ফিরে গেলে অতীতে। সহসা বর্ষায় উচ্ছল তুমি, যার ছিটেফোঁটা আমিও পেলাম এপাড়ে বসে থেকেও। জানো, সেদিন খুব চেয়েছিলাম এপাড়েও বৃষ্টি হোক ঝুমঝুম। আমিও নেয়ে উঠি আনন্দে, গেয়ে উঠি হেঁড়ে গলায়। প্রকৃতি খুবই রুঢ়, তাই আমার এদিকে ঝলমলে রোদ পাঠিয়ে দিলো হাসিমুখে...

স্রোত ভরা নদীটার বুকে দিনদিন জমা হতে থাকা অভিমানের পলি একসময় স্রোতটাকেই স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু স্রোতটা বড় বেয়াড়া। জানোইতো। সে জোর ধাক্কায় অভিমানের বাঁধ ভেঙ্গে আপন পথে ছুটতে চায়। এমন সময়গুলোতে কখনও কখনও অভিমানের পলি ছিটকে গিয়ে পড়ে পায়ের কাছে। কাদা এড়াতে গিয়ে নদী আর পথিকের মাঝে দুরত্ব বাড়ে। পলি জমা হয় নদীর বুকেই...

মনে আছে কিনা জানিনা, আমরা কোথাও যাবো বলে ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে। হঠাৎ তোমার ব্যাস্ততা বেড়ে গেলো। আমরা গেলাম না সেখানে, অন্যমনস্কতা তোমায় ঘিরে ফেলবে তাই। তবু, আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় রইলাম ব্যাস্ততা কমবার। সেদিন জানলাম সেইখানে তুমি ঘুরে এসেছো ব্যাস্ততা আর অন্যমনস্কতার চিন্তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে। হাসিমুখে কষ্ট লুকোলাম। তুমি ঘুরে এসেছো এজন্য না, তুমি আমাকে জানাবার দরকারও বোধ করোনি, তাই। আরও মজাটা কি জানো? এই কষ্টটা আমি তোমাকে জানাবার অধিকারও রাখিনা...

সবকিছু পৌণপূণিক নয় শ্রীময়ী। দেখতে এক লাগলেও ভিতরে সুপ্ত থাকে বিচিত্রিতা। হাসিমুখের মুখোশে চোখের বিষাদ লুকোনো যায়না জেনো...

ইতি,
তোমারই "কোনোসময়ের" আমি...