মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০০৮

হাতুড়ে কাব্য-৯ (কেন্দ্রাভিমুখি টান)

অসভ্য শুঁয়োপোকার মত ট্রেনটা চলে গেলোবাসগুলো ছুটলো ব্যাস্ত কাঠপিপড়ের মত।বসে আছি এমনি এক কাঠপিপড়ের পেটেঅফিসীয় ব্যস্ততা.......সামজিক দায়বদ্ধতা......সবকিছু মিলে মিশে একাকারসাথে যোগ হয়েছে গ্রীষ্মীয় ঘেমো দুর্গন্ধআকাশটাও যেন কষ্ট পেতে ভুলে গিয়েছে।স্টপে দাঁড়াতেই সবার মাঝে প্রতিযোগিতাযে যার মত পিপড়ের পেটের মাঝে সেঁধিয়ে যেতে পারেসবারই ইচ্ছা পিপড়ার দেহাংশনিজ দখলে নেবারআরণ্যক নিয়ম এখনজনারণ্যের নবতর সংযোজনঅসুস্থ্য পিপড়া ধুঁকে ধুঁকে ছুটে চলেপৌনঃপুণিক গন্তব্যেঅনিন্দ্য বিস্ফোরন্মুখ অগ্নিগিরির কেন্দ্রাভিমুখে।পটভুমি:- সেদিন প্রথম বৃষ্টির আগের রাতে ঘামে ভিজে

হাতুড়ে কাব্য-৮ ( একটি ডিটেকটিভ কবিতা )

আবার বেঁচে গেলাম!আজরাইল পায়ে হেটে ফিরে গেলেন হেড অফিসেবসের কাছে রিপোর্ট করতে হবে যে........তাঁর জান কবচের সাঁড়াশী,রূহ প্রিজার্ভের কন্টেইনার,ফেরার বাহনের চাবিসবকিছু পকেটমার হয়ে গিয়েছে।দায়ী?গুলিস্তানের কানা হেইল্যাই!এই নিয়ে নয় বার হলো।বস না আবার আর্লি রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দেয়?দুশ্চিন্তাগ্রস্ত জনাব আজরাইল।

হাতুড়ে কাব্য-৭ ( প্রেম? )

আমার হৃদয় ছিঁড়ে উৎসর্গ করবোশুধু তোমার চরণে,যদি তুমি বলো.............আমার প্রতি ফোঁটা রক্ত দিয়ে তোমার আলতা বানাবোযদি তুমি বলো.............আমার অস্থিভষ্ম তোমারচোখের কাজল করবোযদি তুমি বলো..............আমি হাজার হাজার বছরনির্ঘুম কাটাবোযদি তুমি বলো..............যদি তুমি শুধু একবার বলোভালোবাসি।

হাতুড়ে কাব্য-৬ (বৃত্ত, অধিবৃত্ত বা পরাবৃত্ত)

জলসিঁড়ি ভেঙ্গে উঠে আসিঅবচেতনার ফ্লাইওভারে,যে পথ দিয়ে সহযেই এড়ানো যায়,এড়ানো যায় চেতনার ট্রাফিক জ্যামসোযা চলে যাওয়া যায়অচেতনতার মাল্টিস্টোরিড অফিসে,যেখানে অচেতন ম্যানেজিং ডিরেক্টরমগ্ন থাকে আত্মরতির আত্মতৃপ্তিতে।যেখনে বসে সহযেই মুছে ফেলা যায়বেদনার পরাবৃত্ত,ভালবাসার অধিবৃত্তকিংবা জীবনের এ্যাবসল্যুট বৃত্ত।তারপর তাকিয়ে থাকা নেশাতুর চোখেহ্যালোজেন লাইটের স্পর্শেঅদ্ভুত সজীব সবুজের দিকে।তবু চোখে বাধে কৃত্রিমতাযেন গোলাপ রঙা সাঁঝের স্তনেভালবাসাহীন অশ্লীল নাগরিক চুমুসবশেষেবিবেকের গলিত লাশের মিছিলস্বার্থের দেয়ালে দেয়ালে।

হাতুড়ে কাব্য-৫ ( অসংলগ্ন )

তখন চৈত্র মাস।মনটাকে কাটলাম ফালি ফালি করে,মাংসের কিমা যেমন,পুরো মনটা ঠিক তেমন।তারপর একগুচ্ছ গোলাপ পাপড়ির মতছড়িয়ে দিলামচৈত্রের দুপুর রোদে।রোদ গুলো গোলাপের রং মেখেবিদায় নিলো নগর থেকে।জ্বলে উঠলো তিলোত্তমার তিল,ঠিক যেন নিগ্রো যুবতীর ঝকঝকে হাসি।জাম্বেজীর তীরের সবুজ গায়ে মেখে সূর্য জাগলো।তখনও চৈত্র মাস।

হাতুড়ে কাব্য-৪ ( তোমাকে উৎসর্গ পদাবলী )

আমি আকাশ দেখিনা,
তোমার দু চোখে খুঁজি
আমার সুনীল আকাশ।
আমি ফুল দেখিনা,
তোমার দু ঠোঁটে খুঁজি
আমার গোলাপ কলি।
আমি অরণ্য দেখিনা,
তোমার চুলের অরণ্যে
আমি খুঁজে ফিরি পথ।
আমি বৃষ্টি দেখিনা,
তোমার অশ্রুধারা
সেতো বরষারই প্রতিচ্ছবি।
আমি কবিতা পরিনা,
তোমার হাতের পাতাতেই
লেখা আমার প্রিয় পদাবলী।
আমি প্রকৃতির মাঝেই
খুঁজি তোমায়, কিংবা
তোমার মাঝেই খুঁজি প্রকৃতি।

হাতুড়ে কাব্য ( )

আমার এই হাতুড়ে কাব্যের কোন উপযুক্ত নাম পাচ্ছিনা


ঘাসফুলে মেখে আসে আঁধারের গন্ধ
সুগভীর সুললিত কাঁচপোকা অন্ধ,
নীল মেঘ ছুয়ে রাখে বরষার ভাবনা
ছাই রঙা অ্যাসফল্ট নদীদের চেতনা,
জলপথে ছুটে চলে নিউক্লীয় ফিউশন
কাঁধ পেতে তুলে নেই শত শত ইমোশন,
ডিগ্রীটা বেঁধে নিয়ে সকালের বাতাসে
দ্রুতহাতে শুয়ে পরি দুঃখেরই বিলাসে,
ভাঙ্গা ট্রাক বসে রয় পথিকের আদরে
ঝিঁঝিঁপোকা চুপ করে ঘুমভাঙ্গা চাদরে,
ধীর পায়ে ছুটে আসে অপলক তাড়না
আধোরাতে নেচে ওঠে পরকীয়া বেদনা,
কামাতুর চীৎকারে এলসিডি মনিটর
ফাঁকতালে বাধ সাধে ঘুমচোখা কবুতর,
অফিসের কিউবিকে এসি ধরা ভাবনা
রেইনকোট চুমে আসা আপ্লুত যাতনা।

...........................................................

হাতুড়ে কাব্য-২ (অসামাজিক)

অশ্লীল রাতের পরিশ্রম শেষে
শ্লীলতার শয্যায় শায়িত
বেশ্যা............
প্রকাশ্য দিনের আলোতে
অপ্রকাশ্য তার মনের বেদনা।
উদয়াস্ত পরিশ্রম! তার জন্য অসাড়
বরং অস্তোদয় পরিশ্রম করে সে
কে দায়ী?
আমি?
তুমি?
না কি এই অসামাজিক সমাজ?
প্রশ্ন নিজের কাছেইকোনো উত্তর নেই।
পাবো কি উত্তর কোনো?
হয়তো না।
এভাবেই থেকে যাবে তারা
আমাদের মত বিকৃত কিছু মানুষের
বিকৃত লালসাবিকৃত ভোগ বিলাস
বিকৃত উপভোগের মাধ্যম হিসাবে।
এই আমিই,
এই তুমিই,
এই অসামাজিক সমাজই
ধর্মের ধুঁয়া তুলবো দিনে
আর রাতে রমনায় জিঙ্জাসা করবো
১০০ কেন ৫০ এ হয়না?

Recipe-"Hitz & Commentz"

(This recipe is only for new bloggers)Ingredients:1. One valid nick (essential)2. Little bit of emotion3. Little bit of religious feelings4. Little bit of patriotism5. A urge to attack Procedure: First of all cook some normal blogs to get access to the first page. Then mix a tea spoon full of emotion with 3 cups of religious feelings or patriotism then put your urge of attack(5 table spoon full) to any person/country/religion you dislike and VOILA you dish is ready to serve. To decorate it you may add some photo.{Just wait and see how many hitz & commentz you get}

অপরাধবোধ ?

আমার ছোট বোনটা মানসিক প্রতিবন্ধী।আমি তখন ক্লাস ফোর বা ফাইভ এ পড়ি।আমার বোন প্রথম পৃথিবীর আলো দেখলো। সময়ের ৩ মাস আগেই।ও কেবল বসা শিখছে,আধো আধো বোলে কিছু বলতে চায়। সবার আদরে আদরে ওর সময় যায়। এমন এক দিনে দুপুরবেলা সে ঘুমুচ্ছে। আমি খাওয়া শেষ করেছি বাকি সবাই খেতে বসেছে। আমি ওর পাশে শুয়ে গল্পের বই পড়ছি। হঠাৎ সবার খাওয়া যখন মাঝপথে তখন ও জেগে গেলো।আমি ওর সাথে খেলছি, এমন সময় আমার মাথায় কি যে ভুত চাপলো আমি ওকে আমার এক কাঁধে তুলে নিলাম আরেক হাতে বই এভাবে আমি খাবার টেবিলের দিকে এগোলাম।প্রায় পৌছে গিয়েছি, এমন সময় ব্যালেন্স হারালাম।ও আমার কাঁধ থেকে পড়ে গেলো। মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেলো।আমি জানিনা আমিই দায়ী কিনা। তবু সুপ্ত একটা অপরাধবোধ আমাকে তাড়া করে। সবসময়।