শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০০৮

হাতুড়ে কাব্য- ১২ ( বন্দীত্ব )

প্রতিরোধ্য বৃত্তে থই থই জল
দরূদ জপছে বসে কংস মামার দল।
এ্যাশট্রে তে জমা হয় যত মনস্তাপ
সাজানো এ্যাপার্টমেন্টের ছাদ স্পর্শ করে
চোখ জলের বায়বীয় রূপকল্প
প্রবল প্রতিবাদে মগ্ন ব্যারিকেডে বাঁধা হাত
ঠুলি পড়া চোখে আশাদের মর্মনাদ
তৃষ্ণান্মোত্ত ঠোট ছুঁয়ে যায় শলাকার সিনথেটিক অংশ
আর কেবলই ঘুমিয়ে যায় পরশুরামের কুঠার
শেকল বদ্ধ হয় থরের হাতুড়ি
বেড়ি উঠে আসে আজরাইলের হাতেঅ
তঃপর ক্রোধ চেপে জেগে ওঠে
সকল হতাশা
সকল ঘৃণা
সংগ্রাম ফের বেঁচে ওঠার।

হাতুড়ে কাব্য-১১ (শুন্যতা)

হাতের মুঠোয় ধরে রাখি আকাশ,
চোখের তারায় বেঁধে নিই হৃদপিন্ড,
তপ্ত ঠোঁটের নিস্বঃ চুমুকে
ছিড়ে আনি জোছনা,
সূর্য কে সাজাই অনবদ্য সবুজে,
সাগরকে করি রক্তস্নাত,
চাঁদ ঢেকে দেই এমব্রায়োনিক ফ্লুইডে,
ভালোবাসা খুন করি অদম্য আবেগে,
সাজানো ডেস্কটপ করি এলোমেলো,
পূণঃ সৃষ্টির বেদনায়
হারানো সময় নতুন চেতনা
ফ্রয়েড, রবীন্দ্র, কাফকা, নজরুল .....
আনন্দ, নিরানন্দ, কাম, সংযম.....
নীল, ধূসর, খাকি, শ্যাওলা সবুজ........
তারপর কেবল তারাদের পানে ছুটে চলা।

হাতুড়ে কাব্য-১০ (ইচ্ছে)

ইচ্ছে করে
পালিয়ে যেতে
সকাল, দুপুর
সন্ধ্যা, রাতে।
প্রবল ঝড়ে
মাঠের মাঝে
হঠাৎ করে
হারিয়ে যেতে।
চলতে চলতে
নোটিশ ছাড়া
মাঝ রাস্তায়
দাঁড়িয়ে যেতে।
মনের কাছে
চিঠি লিখে
মনের থেকে
বিদায় নিতে।
নিঃসংগতার
নিঃস্বর্গেতে
হারিয়ে নিজে
আবার পেতে।