বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১০

নৈঃশব্দ্যের কোলাহল ১০ থেকে ১৮

দশ.

সোনালী পরিধেয় দ্বার ছাড়িয়ে প্রবেশ ভিতরের দিকে
অধরের জেব্রা-ক্রসিং এ অহেতুক সময় ক্ষেপন
অন্তর্বাসের পেঁয়াজ খোসা খুলে নিরাভরণ শরীরে অতৃপ্ত হাত।

এগারো.

পঞ্চচক্রাবদ্ধ জীবন টুপটাপ ঝরে যায় দু'হাতের আরাধনা থেকে
চাঁদের পানপাত্র ভরে ওঠে রৌদ্রস্নাত জোছনার
আঁধারে অনুদিত আবেগের তৃষা লোলুপ জিহ্বায় ছাপ ফেলে আলোকিত অপরাধী মন।

বারো.

ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের কার্ণিশ বেয়ে নেমে আসা জলবিন্দু
জনারণ্যে গৃহী সন্ন্যাসীর আজীবন সাধনা। তিলেক সময় ব্যবধানের ছায়া
মিলিয়ে যায় চেতনার গহীন সুড়ঙ্গ পথের ধুলোয়।

তের.

ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের চোখ বেয়ে নেমে আসা জোছনা জলে স্নান করে
সনাতন বোধিবৃক্ষের শিকড়, ছড়িয়ে যায় মাটির গভীরতম প্রদেশে,
বালুকাবেলায়,
মৃত ইকারুসদের পূনর্জন্ম হতে থাকে মোমের শহরে,
জ্বলন্ত আগুনের ফুলকি হয়ে ওঠে একেকটি ফিনিক্স।

চৌদ্দ.

রোদ দুপুরে ডুবে যাওয়া চাঁদের পেলব দেহ
আলতো ছোঁয়া ভোর জ্বেলে দেয় বিভ্রমের আয়না মশাল
ছায়ার কাঁপনে দেয়ালচিত্রে উদ্ভিন্ন যৌবন।

পনের.

চোখের মার্বেল নেমে যায় সুর্যের অভিমুখ
অন্ধ চিত্রকরের তুলি ভেসে যায় চাঁদমাখা রাজপথের রক্তে

প্লাবণ, শ্রাবণ, গ্রহণ একাকার হয়ে মিশে যায় হৃদয়ের অলিন্দে অলিন্দে

ষোলো.

জোৎস্নার শরীরে জড়ানো যতটুকু উত্তাপ, আমাদের সম্পর্কের ভিতর তারও অনুপস্থিতি
তবু,
নারকোলের পাতা বেয়ে নেমে যায় বৃষ্টিজল
আর,
আমি বরফের দিকে তাকিয়ে বলি,
দেখো দেখো............
কতটা ধোঁয়া উড়ছে বরফ খন্ডটা থেকে।

সতের.


পথ-বেদে লেখা রয়েছে যাবতীয় দুপুর রৌদ্রের কান্না আর ইতঃস্তত ঘুরে বেড়ানো চন্দ্র-বালিকাদের জীবন গাঁথা।

আঠারো.


চোখের মণিতে লিখে রাখি বিবিধ শ্যাওলাশাস্ত্র
ট্রান্সপারেন্ট রাত নেমে আসে মসৃণ কিংবা অমসৃণ উপত্যকা বেয়ে
ঠোঁটের কিনারায়

সূর্যের অশ্রুতে জন্ম উল্কা পিন্ডের পাপ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন