আপনারা তো সবাই জানেন,
পরীরা সকালে প্রচুর নাস্তা খায় আর তাদের পা এত বড় নয়
যে, তারা সাত লীগ সাইজের জুতো পড়বে।
তবে জুতোটার সাইজ সাত লীগ না তেতাল্লিশ ফার্লং
তা নিয়ে তাদের ভেতর খুবই সাময়িক একটা মতবিরোধ দেখা দেয়।
এটাও তো সবারই জানা আছে
যে, পরীদের মতবিরোধ খুবই অল্প সময়ের ভিতর মিটে যায়।
এই মতবিরোধ মেটানোর জন্য ছোট্ট একটা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো।
তবে এখানে আরেকটা ছোট সমস্যা দেখা দিয়েছিলো, সেটা হলো সভাপতি কে হবেন সেই সংক্রান্ত।
সভাপতি নির্বাচনের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিলো তার সদস্য সংখ্যা নিয়ে তেমন কোনো ঝামেলাই হয়নি, তবে এই কমিটির জন্য যে মন্ত্রণাপরিষদ গঠিত হয়েছিলো তার তহবিল কার দায়িত্বে থাকবে সেটা নিয়ে একটু ঝামেলা ছিলো।
পরী রানীর সময়োচিত বিজ্ঞ হস্তক্ষেপের ফলে এই ঝামেলাটা মাত্র আটষট্টি দিনের মাঝেই মিটে গিয়েছিলো।
যাই হোক; আমার গল্পটা যে জুতোটা নিয়ে, সেটা কিন্তু খালি পড়ে থাকেনি। সেখানে ঘর বেঁধেছিলো হাজার খানেক ইঁদুর আর কোটি খানেক উঁই পোকা।
শেষ পর্যন্ত জুতোর সাইজ বিষয়ক মতবিরোধের যখন অবসান হলো, মানে কমবেশী বছর পাঁচেক পর, ততদিনে জুতোটার যায়গাতে কচি কিছু গন্ধম গাছ গজিয়ে উঠেছিলো।
আর কিছু পরী আদি পাপে মত্ত হয়ে তাদের গ্রাম কিংবা শহরের মত এলাকাটা পরিত্যাগ করে মানব সমাজে এসে নিজেদের সমজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান বিতরন করছিলো।
যেহেতু সবাই জানে পরী সমাজ মানব সমাজের চাইতে উৎকৃষ্ট, তাই পরী সমাজের আত্মীকরণ প্রক্রিয়া মানব সমাজে শুরু হয়ে গিয়েছিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন