মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

হাবিজাবি

জানুয়ারী ২, ২০১৩ - ১০:০১ পূর্বাহ্ন 

ক্যালেন্ডার দেখতাম ছোট বেলায়। বইয়ে মলাট দেবার জন্য "চায়না" নামের একটা ম্যাগাজিন ছিলো। দারুণ দারুণ সব ছবিতে ভরা। ভালো লাগতো খুব। দুইহাতের আঙুল দিয়ে ভিউফাইন্ডারের মত বানিয়ে ক্লিক ক্লিক শব্দ করতাম। ছবিতোলার প্রতি ভালোবাসাটা বোধহয় ঐ সময়েই ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলো। [সময়কাল ক্লাস ফোর ফাইভ সিক্স]
যা হোক, বড় হইতে থাকলাম। খালাতো ভাই এসেলার দিয়া ছবি তুলতো, তার কম্পোজিশনগুলো দেখে ইন্সপায়ার্ড হইতাম। নিজের ক্যামেরা ছিলোনা, ভাইয়ার ক্যামেরা ধরার সাহস পাইতাম না। এমনকি জিজ্ঞেস করবো ধরতে দিবে কি না, সেই সাহসও পাইতাম না। [সময়কাল ক্লাস নাইন টেন]
ঢাকায় আসার পর মুশফিকুল আলম পিয়াল ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমার একটু ডিস্ট্যান্ট মামাতো ভাই। উনার বিভিন্ন শখের ভেতর একটা ছিলো ফটোগ্রাফী। এবং যেই সময়ে উনার সাথে পরিচয়, তার কিছুদিন আগে উনি সার্ক ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার বা এরকম কোনো এওয়ার্ড পাইছেন। ফটোগ্রাফির প্রতি ভালোবাসাটা আবারো মাথাচাড়া দিয়া উঠলো উনারে দেইখা। উনি নিজের ছবি দেখাইতেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখতাম। [সময়কাল '৯৮-'০২]
একসময় টাকা জমায়ে নিজের প্রথম ক্যামেরা কিনলাম। যদিও ফ্যামিলি ফটোগ্রাফী করবার জন্যে। ক্যামেরাটা ছিলো কোডাকের কেবি টেন। ফিক্সড ফোকাস। সেইটা দিয়েই এক্টু আধটু চেষ্টা করতাম ছবি তোলার। [সময়কাল '০২-'০৫]
পড়াশুনার পাশাপাশি পিয়াল ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইমার হিসাবে কাজ করা শুরু করলাম। ফটোগ্রাফী নিয়ে পিয়াল ভাইয়ের সাথে অনেক কথাবার্তা হইতো। হয়তো উনি আমার প্যাশন ধরতে পারসিলেন। তাই একদিন নিজের দুইটা এসেলারের একটা আমার হাতে দিয়ে বললেন ছবি তুলে আসতে। আমি নিউমার্কেট থেকে একটা ব্লাক এন্ড হোয়াইট ফিল্ম কিনে চলে গেলাম রায়েরবাজার বধ্যভুমিতে... [সময়কাল '০৩-০৬]
এইতো আমার ফটোগ্রাফীর গল্প...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন