নভেম্বর ২৭, ২০১১ - ১:৪৫ অপরাহ্ন
╙╜ ইদানিং... না ঠিক ইদানিং না, বেশ কিছুদিন হইলো আমার কি জানি হইছে।
লেখালেখি করতে পারি না। ঘন্টার পর ঘন্টা নেটে ঢুইকা বইসা থাকি, ব্লগে ঢুইকা
ঝিমাই, ফেসবুক ওপেন কইরা রাইখা দেই। লিখতে পারি না। ব্লগে লগিন করি না,
অফলাইনে বইসা মন্তব্যের ঘরে একটা দুইটা শব্দ লেখার চেষ্টা করি কী-বোর্ডের
কী গুলা মনে হয় লাফাইয়া লাফাইয়া সইরা চইলা যায়। পড়ছিলাম, ডিস্লেক্সিয়া হইলে
মানুষ পড়তে পারেনা, অক্ষরগুলা মনে হয় দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করতেছে। কিন্তু
অনেক খুইজাও আমার রোগের কোনো ব্যখ্যা পাইলাম না
╙╜ মাথার ভেতর কয়েকজন মানুষের নাম নিয়া ঘুরতেছি অনেক অনেক দিন ধইরা। কেউ বাইরে আসতে চায়না
╙ মেটালিক গ্রে ডিসটেম্পার করা একটা গরের ভিতর রাজীব মিত্র বইসা আছে
একটা খটখটে কাঠের চেয়ারে, সামনে একটা ন্যাড়া টেবিল। আর কোনো ফার্নিচার নাই
ঘরে। তার শরীরে ফর্মাল ড্রেস। ডার্ক রঙের প্যান্ট, সেমি ডার্ক শার্ট, লাইট
রঙের টাই, ব্রাউন বেল্ট আর জুতা।সে ঐ ঘরে ভেতরেই মাঝে মাঝে হাঁটাহাটি করে,
তার প্যান্ট শার্ট টাইয়ের রঙ বদলায় কিছুদিন পরপর, ব্রাউন বেল্ট আর জুতা
বদলায় না। রাজীবও ঐ ঘর থেকে বের হতে পারে না...
╙ সুস্মিতার জীবন বাঁধা পড়ে গেছে আন্ডারকন্সট্রাকশন স্কুলটার সাথে।
স্কুলটা দোতলা, তৃতীয় তলার কন্সট্রাকশন চলছে। একটুকরা মাঠ আছে, মাঠে একটা
দোলনা, দুইটা সী-স, আর একটা স্লীপার। মাঠের ঘাসগুলা উজ্জ্বল সবুজ। সেই মাঠে
নীল-সাদা স্কুল ড্রেসে বুক হুহু করা দুপুর সাড়ে তিনটায় ঘুরে বেড়ায়
সুস্মিতা। কখনো দোলনায় দোল খায়, কখনো ঘাসের উপর পা ছড়িয়ে বসে থাকে, কখনো
স্লীপারের সিঁড়িতে বসে থাকে। স্কুলের ঘন্টা বাজে, টিচাররা বিভিন্ন ক্লাস
থেকে বের হয়, কেউ সুস্মিতার দিকে তাকায় না, কেউ তাকে ক্লাসে ঢুকতে বলে
না...
╙ আলফেসানী থাকে একটা দরজার ওইপাশে। দাঁড়িয়েই থাকে, দাঁড়িয়েই থাকে...
╙ লিওনার্দ ইদানিং বেশ আসছে। তার মা ফ্রেঞ্চ, বাবা বাংলাদেশি। একটা
বোতাম খোলা সাদা শার্ট আর মসগ্রীন গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট পড়ে সে কুয়াশা
ঘেরা ভোরে দাঁড়িয়ে থাকে এসফল্টের রাস্তায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন