আগস্ট ৬, ২০১২ - ১১:৪১ অপরাহ্ন
একটা নদীর মৃত্যু হয়েছে সেদিন...
আলফেসানী দাঁড়িয়েছিলো একটা রিকশা কখন এসে টুনটুন নুপুর বাজাবে সেই অপেক্ষায়। সেই রিকশাই এলো, সাথে করে নুপুরের ছন্দের বদলে নিয়ে এলো নদীর মৃত্যু সংবাদ। নদীটার সাথে আলফেসানীর পরিচয় ছিলোনা। শুধু ঢেউয়ের ছন্দটা সে দেখেছিলো কোনো এক আর্ট গ্যালারীর আলো আঁধারীতে।
ঝাঁক বেঁধে দানবেরা ছুটে এসেছিলো মৃত নদীর দৃশ্যমান সম্পদ ছিঁড়ে খুঁড়ে নেওয়ার জন্য। যেটা আলফেসানীর একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই সে জবথবু হয়ে বসে পড়লো গ্যালারীর অন্ধকার সিঁড়ির নীচে। যেখানে তৈলচিত্রদের বৃদ্ধাশ্রম। হঠাতই অন্ধকার ভরে উঠলো ফিসফিস স্বরে। শুনবেনা শুনবেনা করেও আলফেসানী শুনে ফেললো বৃদ্ধ তৈলচিত্রদের একান্ত গোপন কথাগুলো। এর ভেতর কোনো একটা তৈলচিত্র আবার সানাই বাজিয়ে চলেছিলো অবিরাম।
মাথার ভরা সানাইয়ের সুর নিয়ে আলফেসানী যখন জেগে উঠলো, তখন তৈলচিত্রদের কথাবার্তা তার কিছুই মনে নেই। শুধু সকাল সকাল নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবার তাগিদ আর পাগল করা সানাই। কোন ভোরে জানি একটু বৃষ্টি নেমেছিলো, তার পরশ রয়ে গেছে এবরোথেবরো রাস্তায়। তাই সাবধানেই হাঁটছিল আলফেসানী, তবু কাদারা পরম মমতায় জড়িয়ে ধরছিলো তার জুতো। অনেকটা দূর হেঁটে এসে পার্কের বেঞ্চিটাকে সে জিজ্ঞাসা, করলো এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে নাকি? খুব পুরোনো বন্ধুর মত পার্কের বেঞ্চিটা একটা অশ্লীল রসিকতা করে বসলো। আলফেসানীর মাথা থেকে সানাইয়ের সুরগুলো দ্রুতপায়ে ছুটে গেলো পার্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা থাকা পাতাদের আশ্রয়ে। আর ভারমুক্ত আলফেসানী বসে পড়লো বেঞ্চিটার শরীরে শরীর লাগিয়ে।
চোখের নাগালেই শাড়ি ছড়িয়ে নগ্ন শুয়েছিলো লেকটা। আলফেসানীকে এতো কাছাকাছি দেখেও তার ভেতর কোনো বিকার দেখা গেলোনা। বরং সে আলফেসানীর কাছে জানতে চাইলো, গত সন্ধ্যায় তৈলচিত্ররা তার নগ্নতা নিয়ে কিছু আলাপ করেছিলো কি না? লেকটা কষ্ট পাবে জেনেও আলফেসানী সত্যি কথাটা গোপন করতে পারলোনা। সে বলে দিলো, গতরাতে তৈলচিত্রদের আলোচনার বিষয় যদিও নগ্নতা ছিলো কিন্তু তাতে পরিচিত কোনো লেক বা নদীর প্রসঙ্গ ছিলোনা। অনেক দূরের কোনো এক সবুজ বনের নগ্নতায় বারবার উত্তেজিত হয়েছিলো বৃদ্ধ তৈলচিত্রেরা। আলফেসানীর কথা শুনে লেকটা তাড়াতাড়ি নিজের শরীর শাড়িতে ঢেকে নিলো। এর পরপরই পার্কটা কেমন জানি ধুসর হয়ে উঠতে থাকলো। শালিক, কাক আর চড়ুইগুলো উড়ে আসতে লাগলো সারা শহর থেকে। আর টপাটপ একের পর এক দালান তৈরী হয়ে গেলো।
সময় বয়ে চললো, কিন্তু আলফেসানীর নদী-লেক-তৈলচিত্র জনিত বিভ্রান্তি কাটলো না...
একটা নদীর মৃত্যু হয়েছে সেদিন...
আলফেসানী দাঁড়িয়েছিলো একটা রিকশা কখন এসে টুনটুন নুপুর বাজাবে সেই অপেক্ষায়। সেই রিকশাই এলো, সাথে করে নুপুরের ছন্দের বদলে নিয়ে এলো নদীর মৃত্যু সংবাদ। নদীটার সাথে আলফেসানীর পরিচয় ছিলোনা। শুধু ঢেউয়ের ছন্দটা সে দেখেছিলো কোনো এক আর্ট গ্যালারীর আলো আঁধারীতে।
ঝাঁক বেঁধে দানবেরা ছুটে এসেছিলো মৃত নদীর দৃশ্যমান সম্পদ ছিঁড়ে খুঁড়ে নেওয়ার জন্য। যেটা আলফেসানীর একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই সে জবথবু হয়ে বসে পড়লো গ্যালারীর অন্ধকার সিঁড়ির নীচে। যেখানে তৈলচিত্রদের বৃদ্ধাশ্রম। হঠাতই অন্ধকার ভরে উঠলো ফিসফিস স্বরে। শুনবেনা শুনবেনা করেও আলফেসানী শুনে ফেললো বৃদ্ধ তৈলচিত্রদের একান্ত গোপন কথাগুলো। এর ভেতর কোনো একটা তৈলচিত্র আবার সানাই বাজিয়ে চলেছিলো অবিরাম।
মাথার ভরা সানাইয়ের সুর নিয়ে আলফেসানী যখন জেগে উঠলো, তখন তৈলচিত্রদের কথাবার্তা তার কিছুই মনে নেই। শুধু সকাল সকাল নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবার তাগিদ আর পাগল করা সানাই। কোন ভোরে জানি একটু বৃষ্টি নেমেছিলো, তার পরশ রয়ে গেছে এবরোথেবরো রাস্তায়। তাই সাবধানেই হাঁটছিল আলফেসানী, তবু কাদারা পরম মমতায় জড়িয়ে ধরছিলো তার জুতো। অনেকটা দূর হেঁটে এসে পার্কের বেঞ্চিটাকে সে জিজ্ঞাসা, করলো এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে নাকি? খুব পুরোনো বন্ধুর মত পার্কের বেঞ্চিটা একটা অশ্লীল রসিকতা করে বসলো। আলফেসানীর মাথা থেকে সানাইয়ের সুরগুলো দ্রুতপায়ে ছুটে গেলো পার্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা থাকা পাতাদের আশ্রয়ে। আর ভারমুক্ত আলফেসানী বসে পড়লো বেঞ্চিটার শরীরে শরীর লাগিয়ে।
চোখের নাগালেই শাড়ি ছড়িয়ে নগ্ন শুয়েছিলো লেকটা। আলফেসানীকে এতো কাছাকাছি দেখেও তার ভেতর কোনো বিকার দেখা গেলোনা। বরং সে আলফেসানীর কাছে জানতে চাইলো, গত সন্ধ্যায় তৈলচিত্ররা তার নগ্নতা নিয়ে কিছু আলাপ করেছিলো কি না? লেকটা কষ্ট পাবে জেনেও আলফেসানী সত্যি কথাটা গোপন করতে পারলোনা। সে বলে দিলো, গতরাতে তৈলচিত্রদের আলোচনার বিষয় যদিও নগ্নতা ছিলো কিন্তু তাতে পরিচিত কোনো লেক বা নদীর প্রসঙ্গ ছিলোনা। অনেক দূরের কোনো এক সবুজ বনের নগ্নতায় বারবার উত্তেজিত হয়েছিলো বৃদ্ধ তৈলচিত্রেরা। আলফেসানীর কথা শুনে লেকটা তাড়াতাড়ি নিজের শরীর শাড়িতে ঢেকে নিলো। এর পরপরই পার্কটা কেমন জানি ধুসর হয়ে উঠতে থাকলো। শালিক, কাক আর চড়ুইগুলো উড়ে আসতে লাগলো সারা শহর থেকে। আর টপাটপ একের পর এক দালান তৈরী হয়ে গেলো।
সময় বয়ে চললো, কিন্তু আলফেসানীর নদী-লেক-তৈলচিত্র জনিত বিভ্রান্তি কাটলো না...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন