মার্চ ১৯, ২০১২ - ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
"তার" একটা ভুলে থাকা কালো বেড়াল আছে। যার বসবাস তার মনের অনেক ভেতরের একটা রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে। বেড়ালটা বারবার ভুলে যায়, "সে" যে তাকে ভুলে থাকতে চায়। তাই আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে আসতে চায় রোদক্লান্ত ব্যালকনি থেকে। তার অস্থির ছটফটানিতে রোদের দেয়ালে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে কিছু বেড়ালের লোম ভেসে যায় এদিক সেদিক।
আলফেসানীর হাত ফস্কে পড়ে গিয়েছে অনেকখানি রঙ মাখা সময়। এই হারিয়ে ফেলা সময় গুলোকে সে রাখতে চেয়েছিলো নিজস্ব বাগানের ঘাসপাখিলতাপশুফুলে। বোঝেনি, নিজস্ব যে বাগানের ছবি সে এঁকেছিল, সেই ছবিটাতে বাস্তবতার তুলির আঁচড় দেবার কথা যে শিল্পীর সে আর তুলি হাতে নিতে অনিচ্ছুক। অনেক আগে শিল্পীর তুলির রঙ কেড়ে নিয়েছিলো যে তরুণ, তার কাছেই বাঁধা আছে শিল্পীর রঙীন রেখা গুলোও।
"তার" ভুলে যাওয়া কালো বেড়ালটা কিভাবে জানি আলফেসানীর রঙমাখা সময়ের দেখা পেয়েছিলো। উটকো দুধের পাত্র থেকে পড়ে যাওয়া দুধ ভেবে চেটেপুটে খেয়েও নিয়েছিলো সবগুলো সময়, রঙীন সময়। এরপরেই বেড়ালটা স্বভাবসুলভ ভাবে চলে গেলো "তার" কাছে। "তার" পায়ে গা ঘষটাতে ঘষটাতে আদুরে মিয়াও ডাক ছাড়তেই বদলে গেলো তার গলার সুর। "তার" চোখের তারাতেও পড়লো সেই রঙের ছায়া। আর রঙীন রেখার বিচ্ছেদের ফসল হিসাবে কালো বেড়ালটার স্থান হ'লো রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে।
আলফেসানীও চাচ্ছে ভুলে থাকতে ফস্কে যাওয়া রঙ, সেই উটকো দুধ খাওয়া কালো বেড়াল আর সেই রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীকে। ভুলে থাকার পথ ভেবে অস্থিরতা চাপা দিতে সে মিশে গেলো জনস্রোতে। উড়িয়ে দিলো হাজার হাজার ধোঁয়ার কবুতর। ছেঁটে ফেলে দিলো এলোমেলো বেড়ে ওঠা স্বপ্নের ডালপালাগুলোকে। জনস্রোতে তার চোখ ঝলসে যেতে থাকলো বহুবর্ণীল জামার ভাঁজে লুকিয়ে থাকা বিবিধ রঙের ঝলকানিতে। কবুতরের পালকে পালকে খুজে পেতে থাকলো "তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম। স্বপ্নের ডালপালাগুলো বাড়তেই থাকলো অবিরাম।
"তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালটা অনভ্যাসে ভুলে গেছে আদুরে মিয়াও ডাকটা। শুধু রোদের দেয়ালে গা ঘষে, সে শুন্যে ছুড়ে দেয় তার গায়ের লোম। যেই লোম গুলো বাতাসে ভেসে "তার" রোদেলা মনের গহন থেকে উঠে আসতে আসতে বারবার রঙ বদলিয়ে চলে। একসময় হারিয়ে যায় নাগরিক জঞ্জালের সাথে। "তার" চোখে সেই রঙীন লোমের ছায়া পড়লেও ভুলে থাকার সর্বময় প্রচেষ্টা নামের ভুতটাই জিতে যায়।
আলফেসানী জানেনা তার সাথে রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর সাথে আবার কখনো হবে কি না হাঁটা, আবার কখনো দেখা হবে কি সেই উটকো দুধ খেয়ে নেয়া কালো বেড়ালের। তাই সে মনোযোগী হয়ে ওঠে একটা আয়নাঘর বানাবার প্রক্রিয়ায়। যে ঘরের নয়টি দিকেই থাকবে আয়নার কুহেলিকা। যাতে চোখ রেখে একা একাই সে ভেসে যাবে জনস্রোতে। যাতে দেখা যাবেনা কোনো রঙ, আর তাই মুহুর্তের অসাবধানতায়ও হাত ফস্কে রঙ পড়বেনা ছলকে। সেই ঘরে কোনো বেড়াল বা বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর থাকবেনা প্রবেশাধিকার। আলফেসানীই কেবল কথা বলবে নিজের সাথে নাহয় অগুনতি আলফেসানীর সাথে।
"তার" একটা ভুলে থাকা কালো বেড়াল আছে। যার বসবাস তার মনের অনেক ভেতরের একটা রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে। বেড়ালটা বারবার ভুলে যায়, "সে" যে তাকে ভুলে থাকতে চায়। তাই আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে আসতে চায় রোদক্লান্ত ব্যালকনি থেকে। তার অস্থির ছটফটানিতে রোদের দেয়ালে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে কিছু বেড়ালের লোম ভেসে যায় এদিক সেদিক।
আলফেসানীর হাত ফস্কে পড়ে গিয়েছে অনেকখানি রঙ মাখা সময়। এই হারিয়ে ফেলা সময় গুলোকে সে রাখতে চেয়েছিলো নিজস্ব বাগানের ঘাসপাখিলতাপশুফুলে। বোঝেনি, নিজস্ব যে বাগানের ছবি সে এঁকেছিল, সেই ছবিটাতে বাস্তবতার তুলির আঁচড় দেবার কথা যে শিল্পীর সে আর তুলি হাতে নিতে অনিচ্ছুক। অনেক আগে শিল্পীর তুলির রঙ কেড়ে নিয়েছিলো যে তরুণ, তার কাছেই বাঁধা আছে শিল্পীর রঙীন রেখা গুলোও।
"তার" ভুলে যাওয়া কালো বেড়ালটা কিভাবে জানি আলফেসানীর রঙমাখা সময়ের দেখা পেয়েছিলো। উটকো দুধের পাত্র থেকে পড়ে যাওয়া দুধ ভেবে চেটেপুটে খেয়েও নিয়েছিলো সবগুলো সময়, রঙীন সময়। এরপরেই বেড়ালটা স্বভাবসুলভ ভাবে চলে গেলো "তার" কাছে। "তার" পায়ে গা ঘষটাতে ঘষটাতে আদুরে মিয়াও ডাক ছাড়তেই বদলে গেলো তার গলার সুর। "তার" চোখের তারাতেও পড়লো সেই রঙের ছায়া। আর রঙীন রেখার বিচ্ছেদের ফসল হিসাবে কালো বেড়ালটার স্থান হ'লো রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে।
আলফেসানীও চাচ্ছে ভুলে থাকতে ফস্কে যাওয়া রঙ, সেই উটকো দুধ খাওয়া কালো বেড়াল আর সেই রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীকে। ভুলে থাকার পথ ভেবে অস্থিরতা চাপা দিতে সে মিশে গেলো জনস্রোতে। উড়িয়ে দিলো হাজার হাজার ধোঁয়ার কবুতর। ছেঁটে ফেলে দিলো এলোমেলো বেড়ে ওঠা স্বপ্নের ডালপালাগুলোকে। জনস্রোতে তার চোখ ঝলসে যেতে থাকলো বহুবর্ণীল জামার ভাঁজে লুকিয়ে থাকা বিবিধ রঙের ঝলকানিতে। কবুতরের পালকে পালকে খুজে পেতে থাকলো "তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম। স্বপ্নের ডালপালাগুলো বাড়তেই থাকলো অবিরাম।
"তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালটা অনভ্যাসে ভুলে গেছে আদুরে মিয়াও ডাকটা। শুধু রোদের দেয়ালে গা ঘষে, সে শুন্যে ছুড়ে দেয় তার গায়ের লোম। যেই লোম গুলো বাতাসে ভেসে "তার" রোদেলা মনের গহন থেকে উঠে আসতে আসতে বারবার রঙ বদলিয়ে চলে। একসময় হারিয়ে যায় নাগরিক জঞ্জালের সাথে। "তার" চোখে সেই রঙীন লোমের ছায়া পড়লেও ভুলে থাকার সর্বময় প্রচেষ্টা নামের ভুতটাই জিতে যায়।
আলফেসানী জানেনা তার সাথে রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর সাথে আবার কখনো হবে কি না হাঁটা, আবার কখনো দেখা হবে কি সেই উটকো দুধ খেয়ে নেয়া কালো বেড়ালের। তাই সে মনোযোগী হয়ে ওঠে একটা আয়নাঘর বানাবার প্রক্রিয়ায়। যে ঘরের নয়টি দিকেই থাকবে আয়নার কুহেলিকা। যাতে চোখ রেখে একা একাই সে ভেসে যাবে জনস্রোতে। যাতে দেখা যাবেনা কোনো রঙ, আর তাই মুহুর্তের অসাবধানতায়ও হাত ফস্কে রঙ পড়বেনা ছলকে। সেই ঘরে কোনো বেড়াল বা বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর থাকবেনা প্রবেশাধিকার। আলফেসানীই কেবল কথা বলবে নিজের সাথে নাহয় অগুনতি আলফেসানীর সাথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন