প্রবীণের চা'র দোকানের সামনে
দুটো বেঞ্চিতে অফিস ফেরতা চারজন
(পঞ্চম জন? আসি আসি করেও আসতে পারেনি)
বিভিন্ন ভঙ্গীতে বসে আছে।
একজন ঋষি ঢং এ
অপরজন কর্পোরেট ঘোড়সওয়ার
তৃতীয়জন ধ্যানমগ্ন বকের একাগ্রতায়
চতুর্থজন বেঞ্চি লাগোয়া গাছে নিজের সকল চিন্তা প্রবাহিত করে বসে।
চা'র দোকানের টেবিলে সকল দাপ্তরিক ওজন নামিয়ে রাখার পরও
বেঞ্চির উপর ছড়িয়ে ছিটয়ে থাকা
এস.এম.এস বা ফোনকল,
চা'র কাপ (একটায় তলানি নেই, দুটোয় উচ্ছিষ্টাংশ, শেষটা অর্ধভুক্ত),
তেলমাখা কাগজের ঠোঙ্গা,
লাল রঙ এর লাইটার
আর চারটি নিতম্ব।
অসংলগ্ন নানা কথা উড়ে যায় ধোঁয়ার সাথে সাথে
কিংবা, আষাঢ়ের প্রথম দিনের উত্তাপজাত ঘামে মিশে
মেখে থাকে বাহুমূল আর পিঠের জামায়।
জমায়েত শিশুদের কলতান,
পুর্ণবয়স্কদের সুদাসলের হিসাব, কোনো বাধা তৈরী করেনা
আলাপের প্রসঙ্গান্তরে
প্রসঙ্গান্তরের প্রসঙ্গান্তরে।
অবশেষে রওনা হয়; ভুট্টোকে, পাওনা সময়ের দাম
টাকার হিসেবে মিটিয়ে প্রাত্যহিক গুহার উদ্দেশ্যে চার জোড়া পা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন