মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

অসংলগ্ন

জুলাই ২০, ২০১০ - ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

কানাই ঘটক তার অস্থিসার পিঠটাকে টিনের মতো দেয়াল বা দেয়ালের মতো টিনের সাথে ঠেকিয়ে একটু ঝিমিয়ে নিচ্ছিলো। পায়ের সামনে লাঠিটাকে আড়াআড়ি করে রেখে নিয়েছিলো যাতে কুকুর এবং অন্যান্য নাগরিক পশুরা হুমড়ি খাবার আগে, একটু হলেও বিভ্রান্ত হয়।
আরে, এই বুড়োর চেহারার সাথে মহাত্মা গান্ধীর চেহারা হুবুহু মিলে যায়। দুর্ভাগ্য যে গান্ধী কোনো ধর্মের প্রেরিত পুরুষ না। নয়তো কানাই ঘটকের ভেতর গান্ধীর পুনঃজন্ম ঘটেছে বলে কিছু টু-পাইস কামিয়ে নেয়া যেতো।সশব্দে "ধুর বাল" বলে নিজের চিন্তাকে চুপ করিয়ে আলফেসানী পায়ের কাছে পড়ে থাকা কিছু একটার ক্যানের উপর লাথি কষিয়ে দিলো।
কানাই ঘটকের শরীরে জড়িয়ে নেবার মতো অনেক কিছুই ছিলো এই শহরের আনাচে কানাচে। কিন্তু সেই জিনিস গুলো কিনবার মতো যেই রঙীন কাগজের টুকরোগুলোর প্রয়োজন তারই অভাব ছিলো।(সে যাই হোক। কানাই ঘটকের অভাব অভিযোগের কথা আপাততঃ একটা পাশে সরিয়ে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।) তো খালি গায়ের কানাই ঘটক, যখন ঝিমুনির ভিতরে রাস্তা দিয়ে চলতে থাকা গাড়ি গুলোর শব্দকে সেতার-সারেঙ্গী-তবলার বোল মনে করে মৃদু সুখস্বপ্নের দিকে এগোচ্ছিলো সেই সময়েই লাঠির ব্যারিকেডকে আলতো ভাবে পাশ কাটিয়ে আলফেসানীর লাথি কষানো ক্যানটা এসে তার কপালের কোনায় লাগলো। ক্যানের শব্দ না কানাই ঘটকের সুখস্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার শব্দ বলতে পারি না, তবে শব্দ একটা হ'লো। ঘষাটে কাঁচের চোখ খুলেই ঘটক বাবু হাতের লাঠিটা নিয়ে একটা লাঠিয়ালে পরিণত হয়ে গেলো। ভিটে বাঁচানোর আকাঙ্খায় উন্মত্ত কানাই লেঠেল একটা মোক্ষম মার দিয়ে বসলো। নাগরিক পশুটা কেঁউ জাতীয় একটা শব্দ করে পড়ে যাবার সাথে সাথেই কানাই লেঠেল তার হাতের লাঠিটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো মজা দেখতে আসা অন্যান্য নাগরিক জন্তুগুলোর উপরে।
_______________________________________________________
অনেক দিন ধৈরা মাথার ভিত্রে লাইন কয়টা আটকায়া ছিলো। আইজকা বাইর কৈরা দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন