এপ্রিল ৩, ২০১১ - ১:৫৮ পূর্বাহ্ন
*
মানুষের ভিতর দায়িত্ববোধ নামের জিনিসটা কবে কিভাবে জন্মাবে ভাবতেই থাকি। আর
মাঝখান দিয়ে সময় যেতে থাকে। একটা সো কল্ড দায়িত্বশীল মানুষের কাছ থেকে
বারবারই দায়িত্বহীনের মত আচরণ পেতে থাকলে টার দায়িত্বশীলতা নিয়ে আমার ভিতরে
প্রশ্ন জাগে। সেই মানুষটার উপর কোনো কাজের ভার দিয়ে আদতেই কি রিলাই করা
যাবে কি না এরকম একটা চিন্তা কাজ করতে থাকে।
ভণিতা বাদ দিয়ে আসল কথা বলি। শুক্রবার সারাদিন অফিস করে, কুষ্টিয়া
ব্রাঞ্চের জন্য কিছু জিনিসপাতি কেনাকাটা করলাম। সেগুলোকে প্যাকিং করালাম,
এস এ পরিবহনে বুকিং দিলাম। তারপর কুষ্টিয়া ব্রাঞ্চের দায়িত্ব(!!??) যার
উপর, সেই জনাব কে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে এস এম এস করলাম। সবশেষে এস এম এস
বুঝতে যদি অসুবিধা হয় তাই ভেবে আবার ফোন করে সেটা কনফার্ম করলাম। হিসাব
অনুযায়ী শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার ভিতর জিনিসগুলা পৌছিয়ে যাবার কথা। ধরি
রাস্তাঘাটের জন্য তিন সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরী হতে পারে। সেই হিসেবে বিকাল
চারটা নাগাদ জিনিসগুলো দায়িত্ব(!!??) প্রাপ্ত অফিসারের হাতে পৌঁছুবে।
সেগুলো সেট আপ করতে আরও ধরি আধ ঘণ্টা। বিকাল সাড়ে চারটা। অফিস টাইম শেষ হতে
আধ ঘণ্টা বাকি। অন্ততঃ একটা ফোন দিয়ে তিরিশ সেকেন্ডেও তো বলা যায় "হ্যাঁ।
জিনিসগুলো আমার হাতে এসে পৌঁছেছে।" আমাদের ভিতর সেই সংস্কৃতিটা আসলে মনেহয়
এখনও গড়ে ওঠেনি। দেখি রবিবার দায়িত্ববান(!!??) জনাব কি করেন। ওহো, এর আগেও
তাকে কিছু জিনিস পাঠানো হয়েছে যার প্রাপ্তিস্বীকার আমার নিজেরই ফোন করে
জানতে হয়েছে, তাও এক সপ্তা পর
**
মধ্যবিত্তের আর কিছু না থাক ইগো সংক্রান্ত প্রব্লেমটা খুব চওড়া। ধরা যাক
কোনো কাছের মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন; ওখানে কেনো
যাবো, আমাকে কি কার্ড দিয়েছে?
কার্ড দেয়ার পর; এত দেরী করে কার্ড কেন দিলো? আসলে আমার উপস্থিতির কোনো গুরুত্ব নেই ওদের কাছে।
যাওয়ার ডিসিশন নেবার পর; এত আগে কেনো যাবো? ওরাতো শুধু বিয়েতে যাবার জন্য
কার্ড দিয়েছে, গায়ে হলুদের কথাতো বলেনি, অ্যাটলিস্ট মুখেও বলতে পারতো।
শালার মিডিলক্লাস সেন্টু
***
এক বন্ধু। যে আমার এক বিশাল বিপদের সময় নিস্বার্থ ভাবে হেল্প করেছে। সেই
তাকেই এখন চিনতে কষ্ট হয়। ছয়মাসে-বছরে কোনো যোগাযোগ নেই। যখন তার নিজের
কোনো কার্যসিদ্ধির প্রয়োজন, ঠিক তখনই তার উদয় হয়। মিলাতে কষ্ট হয়। ছেলেটা
খাটতে পারে খুব। কিন্তু তার লক্ষ্য কিভাবে কম খেটে বেশি আর্ণ করা যায়। এই
কম খাটনি করতে গিয়ে সে যেই এফোর্টটা দেয়, সেইটা যদি কোনো চাকরী বা প্রচলিত
ব্যবসার পিছনে দিতো তাহলে এতদিনে সে একটা ভালো পজিশনেই থাকতে পারতো।
অনেকবার বুঝাতে চেষ্টা করেছি। বুঝবেনা। যাঃ শালা গাড়ল বলে ছেড়ে দিয়েছি
****
বৃষ্টি হবার পর কই রোমান্টিক টাইপের কিছু লেখব, তা না নিজের মেজাজ খারাপের কিছু অংশ লিখে ফেললাম...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন