কালামপুর ছাড়িয়ে কিছুদুর এগিয়ে গেলেই আধা শহর আধা গ্রামের মতো একটা এলাকা। এখানে জলের দরে জমি কিনে না বাগানবাড়ি না পিকনিক স্পট ধরণের কিছু জিনিস দেখা যায়।
প্রতিমাসেই এখানে গাড়ি চড়ে কিছু ভদ্রলোক আসেন অলস সময় কাটাতে।
তাঁদের গা দিয়ে অপরিচিত সুগন্ধ, হাতের সিগারেটে আয়েশী টান দিতে দিতে তাঁরা বসে থাকেন গাছ ঘেরা লনের আরাম কেদারায়। তাঁদের ফর্সা দেহ যাতে গাছের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে ছলকে আসা রোদে কালো না হয়ে যায় সেজন্য এই আরাম কেদারা ঘিরে থাকে বাহারী রঙ এর ছাতায়। এখানে বসে তাঁরা একে অপরের সাথে আলোচনা করেন, হাসেন, দামী মোবাইলে কথা বলেন তাঁদের রেখে আসা জরুরী কাজগুলো নিয়ে।
এঁদের সাথে কিছু শিশু বা যুবক-যুবতী থাকে। তাদের হাতে থাকে দামী ক্যামেরা, মাথা ঢাকা থাকে বারন্দা-আলা টুপিতে, চোখ ঢাকা থাকে রোদ-চশমায়। এদেরও গা থেকে ভুরভুর করে বের হয় অদ্ভুত মাতাল করা সুগন্ধ। এরা পার্শ্ববর্তী গ্রামে ঘুরে বেরান, ছবি তোলেন। তারা গরীব শিশুদের ছবি তুলে তাদের হাতে চকলেট ধরিয়ে দেন। যে চকলেট গুলির স্বাদ তাদের মুখে অনেকদিন পর্যন্ত খেলে যায়।
তাঁদের সাথে আরো থাকেন ধবধবে সাদা শরীরের কিছু মহিলা। মুখে সুন্দর মেকাপ দিয়ে সাজানো। ফিনফিনে শাড়ীর জানালা দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দেয় ফর্সা পেট। যা দেখে আধা শহর আধা গ্রামের অবিবাহিত যুবকেরা ছোটে উপকন্ঠের বেশ্যাবাড়ীতে। আর বিবাহিত পুরুষগুলোর কালো বৌ গুলোকে আদর নামের অত্যাচার সহ্য করতে হয়।
____________________________________________
হালারা রংচঙা বাড়ি বানাইছে। পেরতি মাসে হেগোর আইতেই হইবো। আইয়া হুমুন্দির পুতরা হেগো ধুমসা প্যাট দ্যাহায়, রইদে নাকি আবার হেগো গায়ে জ্বালা ধরে। ছাতা বানয়া রাখছে হালারা গাছের নীচে। তাও যদি হাউয়ার পোলারা দান-ধ্যান করতো তাইলেও হইতো। না হেরা আহে আরাম মারাইতে। কেনরে? তোগোতো ঠান্ডা মেশিন আছে বাড়িত, ঐহানে বইয়া আরাম সোগার মইদ্যে হান্দায় না?
পোলাপাইন লইয়া আহে। শয়তানের বাচ্চাগুলা নিজেগোরে যে কি ভাবে হালারা নিজেরাই জানে। রইদচশমা, টুপি পইরা নিজেগো বড়লোকি দেহাইতে আহস। আরে হালারা আমাগো পুলাপাইনের ফটো তুইলা লয়া লেবেনচুষ ধরায়া দিস, ক্যান টেকা দিতে শইল জইল্যা যায় নিকি? হায়রে টেকার মায়া।
তয় হেগোর লগে যেই ডবকা মাগীগুলান আহে, হেইগুলা একেক খান জিনিস। আহারে কি দুধের মত সাদা চেহারা! মাঝে মইধ্যে প্যাট দেহা যায় শড়ির ফাঁক দিয়া। মনেহয় মাখনের মতো তুলতুইল্যা হইবো। আমগো কালা ধুমসা বউ গুলারে হাজার বছর ধইরা তেল সাবান মাখাইলেও ঐরকম হইবোনা। কালা মাগী গুলানরে পিটানির উপর না রাখলে মাগীরা কথাই শুনবার চায় না। কেনরে মাগী বিয়া বওনের টাইমে মনে আছিলো না ভাতারে যখনি শুইতে চাইবো তখনি তোগো শোওন লাগবো?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অনেক দিন পর গদ্য লেখার প্রয়াস...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন