মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

আত্মমগ্ন কথামালা - ১৬

অক্টোবর ১২, ২০১২ - ১১:২০ অপরাহ্ন 

ঘুরেফিরে বার বার চলে আসি নিজের পাশেই। বসে থাকি চুপচাপ, হাতটা বাড়িয়ে একটা মশা মারি, ঠাস্‌! করে শব্দ হয়। নিজের তৈরী শব্দের প্রতি নিজেরই মুগ্ধতা তৈরী হয়। মৃত মশার প্রতি সহানুভুতি জাগে। হাতে বা পা'এ লেগে থাকা নিজের রক্তের রঙের দিকে ভালোবাসা নিয়ে তাকিয়ে থাকি। একটু ওপাশ থেকে কখনো ভেসে আসে বাঁশির শব্দ, কখনো ভেসে আসে সেতার বা গীটারের সুর, কখনোবা দ্রুততাল আর লয়ে ড্রামের বিট। এগুলোর সাথে সঙ্গত করে বিভিন্ন স্বর। ভালো লাগে বা লাগেনা...

উড়ে যাবার শখ ছিলো একটা সময়। বয়সের সাথে সাথে পিঠে গজানো ডানার পালকে ধুসর ছোঁয়া লাগে। হয়তো কিছুদিনের ভেতর মরে যাবে পালকের জন্মদাত্রীরা। সেখানে জমে উঠবে মৃত ঘাসের দঙ্গল। পিঙ্গল না আরো ফিকে কোনো রঙের?

একঝাঁক পাখি মরে গিয়েছে পার করতে থাকা সময় জুড়ে। তাদের জন্য একটা ব্যক্তিগত গোরস্থান তৈরী জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। নয়তো তাদের এপিটাফের পদ্যে ভুল পালকের ছন্দ আঁকা হয়ে চলেছে প্রতিটা সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা-প্রহর-দিন-সপ্তা-মাস-বছর ধরে। স্মৃতি যতই বেদনাদায়ক হোক না কেন, সেটাকে উপভোগ করার চাইতে অন্য কোনো উপায় জানা নেই যে...

চাঁদ-ফুল-পাখি-প্রকৃতি নিয়ে রোমান্টিসিজম এক পর্যায়ে নিহিলিজমের দিকেই ঠেলে দেয়...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন