মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

পৌনঃপুনিক

অক্টোবর ১৬, ২০১২ - ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন 

মৃদুল প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে, একটা নীল বেলুন হাতে।

........................

শোভনা প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে, কাঁধে থাকে একটা সাদা ব্যাগ।

........................

পুরোনো ধাঁচের তিনতলা এই বাড়ীটায় সিঁড়িগুলো অনেক উঁচু উঁচু আর অন্ধকার। অন্ধকার ঠিক না, আলো কম। তবে ঘন্টা খানেক দাঁড়ালে চোখ সয়ে আসে, সবকিছু দেখা যায়। শুধু রঙ আর আকারের কোনো থই পাওয়া যায় না।
মৃদুল অপেক্ষা করে শোভনার জন্যে।
শোভনা ক্লান্ত পায়ে এক একটা সিঁড়ি ভাঙ্গে, মৃদুল পায়ের শব্দ গোনে। শোভনার সাদা ব্যাগটা ঝলমল ঝলমল করে। মনেহয় এক খন্ড সুর্য নিয়ে সে ঢুকেছে অন্ধকার সিঁড়িঘরে। সেই সুর্যকে নীল মেঘ দিয়ে বরণ করে নিতেই মৃদুল দাঁড়িয়ে থাকে নীল বেলুন হাতে।
শোভনাও অপেক্ষা করে মৃদুলের সাথে দেখা হবার ক্ষণটার।
দু'জনে মুখোমুখি হয় তে'তলার ল্যান্ডিংএ। মৃদুল ঠোঁট আর চোখে হাসি নিয়ে শোভনার দিকে বেলুনটা বাড়িয়ে দেয়, শোভনাও চোখ আর ঠোঁটে মৃদু হাসি নিয়ে দুহাতে বেলুনটা ধরে।
আর বেলুনটা অদৃশ্য হয়ে যায়।
মৃদুল সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় নীচে, শোভনা নিজের বাসার দরজায় কড়া নাড়ে।

..................

..................

মৃদুল প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে, একটা নীল বেলুন হাতে।

........................

শোভনা প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে, কাঁধে থাকে একটা সাদা ব্যাগ।

........................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন